সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে – কেন্দ্রীয় ব্যাংক

0

সিটিনিউজবিডি  :     মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ এর জারিকৃত এক সার্কুলারে দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠনকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগামী ১ জুন থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে এবং আগামী জুলাই মাস থেকেই রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে নিবিড় পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে একটি নির্দিষ্ট হিসাবে এক দিনে এক বা একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে জমা বা উত্তোলনে নজরদারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নগদ লেনদেন এক দিনে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হলেই বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক লেনদেনের রিপোর্ট মাসিক ভিত্তিতে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট মাসে রিপোর্টযোগ্য নগদ লেনদেন সংগঠিত না হলে ‘নগদ লেনদেন রিপোর্টযোগ্য কোন লেনদেন নেই’ মর্মে প্রত্যয়ন পত্রের মাধ্যমে জানাতে হবে। দাখিলকৃত এসব রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে রিপোর্ট জমা দেয়ার পরবর্তী ৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।

তবে সরকারি হিসাব, সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের হিসাবে নগদ জমার ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন রিপোর্ট জমা দিতে না হলেও উত্তোলনের ক্ষেত্রে তা যথানিয়মে দাখিল করতে হবে।

নগদ লেনদেন রিপোর্টিং পূর্বে প্রবর্তিত সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্টি থেকে আলাদা বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, কোনো হিসেবে নগদ লেনদেন রিপোর্টযোগ্য সব লেনদেন সম্পাদিত হলেই তা সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে বিবেচিত হবে না। তবে কেন্দ্রীয় পরিপালন ইউনিট সব লেনদেন পর্যালোচনা করে দরকার হলে সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট হিসেবে পৃথক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.