বিএনপি ২০ দলীয় জোটে ভাঙনের সূর..

0

সিটিনিউজবিডি : যে কোনো সময় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভেঙে ছোট হয়ে যেতে পারে ।তারা বলছেন, পরপর দু’বার সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ ২০ দলীয় জোটে বর্তমানে অবিশ্বাস-সন্দেহ চরম আকার ধারণ করেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে তার উপদেষ্টা শাহজাহান ওমর জোটবিরোধী বক্তব্য রাখেন।

বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরকে সরকারের এজেন্ট হিসেবে দাবি করে জোটের অন্যতম নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘শুধু বিএনপির সঙ্গে জোট করার কারণে বিগত ৫/৬ বছর যাবত আমরা আমাদের হক-হালালি ব্যবসাও করতে পারছি না। জোটের হেন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলা নেই। অনেক মামলায় চার্জশিটও দাখিল হয়েছে। আমাদের চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মো: ওয়াক্কাস, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন জেলে গিয়েছেন। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুদল লতিফ নেজামীর মতো প্রবীণ ও নিতান্তই ভদ্রলোককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। ভয়-ভীতি দেখিয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজাসহ জোটের অনেক নেতার নামে মামলা হয়েছে। অথচ শাহজাহান ওমর বলছে, জোটের নেতারা নাকি আন্দোলনে সক্রিয় নয়।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জোট শরিকরা যদি আন্দোলনে সক্রিয়ই না থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেমন করে একাধিক মামলা হল? আর সরকারের এজেন্ট শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে গত ছয় বছরেও কেন একটি মামলা হল না। যেখানে বিএনপির হেন কোনো নেতা মামলা থেকে রেহাই পাননি, সেখানে কেমন করে তিনি মামলাহীন থাকেন।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পুরোধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিকভাবে বিএনপি গঠন করেছিলেন। তিনি জোর করে বা ভয় দেখিয়ে কাউকে দলে (বিএনপি) যোগ দিতে বাধ্য করেননি। জাতীয়তাবাদের চেতনায় ও জিয়াউর রহমানের সঠিক নেতৃত্বের কারণে তৎকালীন নেতারা প্রথমে জাগো দল পরে বিএনপিতে যোগ দেন। এ দেশের জাতীয়বাদী আদর্শের রাজনীতিকে তারা শক্তিশালী করেন। কিন্তু শাহজাহান ওমর যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তিনি শহীদ জিয়াকেই খাটো করেছেন। প্রকৃতপক্ষে জিয়ার অন্যতম এক খুনীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে শাহজাহান ওমরের পক্ষেই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া সম্ভব।’

এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি। ১২ শীর্ষ নেতা রাতে বৈঠক করবেন। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কীভাবে বাকি সম্মানটুকু বজায় রেখে জোট থেকে বের হওয়া যায়।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.