কালো টাকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী নীরব ..

0

সিটি অর্থনৈতিক : বর্তমানে অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বৈধ করার সুযোগ আছে। নিয়ম অনুযায়ী, যে কেউ তার আগের গোপন আয় প্রদর্শন করে টাকা বৈধ করতে পারেন। তবে তাকে প্রযোজ্য হারে কর ও তার সঙ্গে জরিমানা দিতে হয়। যদিও এনবিআর বরাবরই দাবি করে আসছে এ ব্যবস্থাকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বলা যায় না। কিন্তু অর্থনীতিবিদসহ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রচলিত ব্যবস্থা প্রকারান্তরে কালো টাকা সাদা করারই সুযোগ।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে কোনো বক্তব্য দেননি। ফলে কালো টাকা বিনিয়োগ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর নীরবতাই বলে দিচ্ছে আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বহাল থাকছে।

এ অবস্থায় দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশসহ (টিআইবি) বিভিন্ন মহল গোপন আয় প্রদর্শনের নামে কালো টাকা সাদা করার চিরস্থায়ী এই বিধান বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে কালো টাকা সাদা করার চিরস্থায়ী এই বিধানটি রয়েই গেল।

তবে রিহ্যাবসহ বেশ কিছু সংগঠন তাদের নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছিল প্রাক-বাজের আলোচনায়। শুধু তাই নয়, রিহ্যাব কালো টাকার উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা হবে না, এমন নিশ্চয়তাও চেয়েছিল ওই আলোচনায়।

বর্তমানে আবাসন খাতে ফ্ল্যাট ক্রয়ে প্রতি বর্গফুটে নির্ধারিত কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে। কিন্তু এ সুযোগ দেওয়া হলেও কোনো ইতিবাচক সাড়া নেই।

আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা বলেছেন, বর্তমান সুযোগ নিয়ে কেউ ফ্ল্যাট কিনলে তার আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ফলে কেউ ফ্ল্যাট ক্রয়ে উৎসাহিত হন না। এ অবস্থায় বর্তমান বিধান বাতিল করে নির্দিষ্ট হারে (ঢালাওভাবে) কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে আবাসন মালিকদের সংগঠন রিহ্যাব।

তারা বলেছে, এই সুযোগ দিলে আবাসন খাত চাঙ্গা হবে এবং অর্থনীতি বেগবান হবে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেটে এ বিষয়ে কোনো কিছু না থাকায় হতাশ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারাও।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.