মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আবার মাছ শিকার উন্মুক্ত। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছেন প্রায় ২৩ হাজার জেলে। ইতিমধ্যে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
চলতি মৌসুমে ১২ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও উৎপাদন বাড়াতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ শিকার, আহরণ, বাজারজাত ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। প্রায় সাড়ে তিন মাস তা বলবৎ রাখার পর প্রজনন মৌসুম সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন গত আগষ্ট মাসে অনুষ্ঠিত এই সংক্রান্তে এক সভায় ২০ আগষ্ট মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে পুনরায় উন্মুক্তভাবে মাছ শিকার, আহরণ, বাজারজাতকরণও পরিবহন করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ মৌসুমে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, উৎপাদন ও বংশ বিস্তার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাই কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরার ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস পর্যন্ত কর্মহীন থাকার পর আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছেন হ্রদে মাছের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২৩ হাজার জেলে।
জেলেরা জানান, হ্রদে মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের এতদিন ধরে বেকার বসে থাকতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছেন তারা।
বিএফডিসির তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে মাছের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২৩ হাজার জেলে। এছাড়া মৎস্য ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকসহ রয়েছেন আরও বহু মৎস্যজীবী। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ মৎস্যজীবী নির্ভরশীল কাপ্তাই হ্রদের মাছের ওপর।