সিটিনিউজবিডি : ঢাকার উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশার খুনিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে তার সহপাঠী ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে কয়েকশ ছাত্রছাত্রী চৌরাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করলে আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারও উইলসের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানাতে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থীরা সেখানে রিশার খুনিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে যান।
গত বুধবার দুপুরে স্কুলের সামনের ফুটওভারব্রিজ হয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় এক যুবক রিশার পেটে ও হাতে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। তিনদিন পর রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
১৪ বছর বয়সী রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ‘বি’ শাখায় পড়ত।
তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে রিশা চতুর্থ ছিল। তার বাবা রমজান হোসেন কেবল অপারেটের।
রিশার মা তানিয়া বেগমের বরাত দিয়ে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানিয়েছিলেন, কয়েক মাস আগে ইস্টার্ন মল্লিকার বৈশাখী টেইলার্সে একটি জামা বানাতে দিয়েছিলেন তিনি। যোগাযোগের জন্য সেখানে তিনি নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন।
ওবায়েদ নামে ওই দোকানের এক কর্মচারী ফোন করে রিশাকে বিরক্ত করছিল। এ কারণে রিশার মা ওই মোবাইল সিমটি বন্ধ করে দেন। তার ধারণা, ওবায়েদই রিশাকে ছুরি মেরেছে।
বুধবার ওবায়েদকে আসামি করে রমনা থানায় মামলা করেছেন তানিয়া বেগম।
তবে ওবায়েদ দুই মাস আগে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন বলে পুলিশ জানতে পারে। পুলিশ বৈশাখী টেইলার্সের চার কর্মচারীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ওবায়েদকে এখনও আটক করতে পারেনি।