চন্দনাইশ প্রতিনিধি : চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্টের মোটর সাইকেল আটকিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার চট্টগ্রামের নিকট।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) আখতারুজ্জামান তার সরকারী মোটর সাইকেল নিয়ে দুপুর ১২ টার সময় অফিসিয়াল কাজে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। নতুন ব্রীজ এলাকায় পৌছার পর সেখানে সার্জেন্ট আরফাত তার কাগজ পত্র দেখতে চায়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইপিআই আখতারুজ্জামান তার সকল কাগজ পত্রের ফটোকপি সার্জেন্ট আরফাতের নিকট উপস্থাপন করেন। কাগজপত্র সঠিক পেয়ে তাকে বখশিস হিসেবে ২’শ টাকা দেয়ার জন্য বলেন। এ সময় আখতারুজ্জামান তাকে বখশিসের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন সে মূল কাগজপত্র চান। তিনি পরবর্তীতে অফিস থেকে মূল কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য সময় চাইলে তখন কথা কাটাকাটি হয়। সার্জেন্ট আরফাত এ সময় ক্ষেপে গিয়ে টিটি, আরসি, ডিএল ক্রুটিপূর্ণ দেখিয়ে মামলা দেন এবং বলেন এবার টেলা সামলান।
মামলার কাগজ নিয়ে সদরঘাটস্থ উপ-পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তার বিরুদ্ধে ৫ হাজার ৫’শ টাকার মামলা দেয়া হয়েছে। ফলে তিনি এ বিষয়ে লিখিত বর্ণনা দিয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের বরাবরে একটি অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত কানু বিশ্বাস ও ফারুক আখতারুজ্জামানকে তার অভিযোগ তুলে নিলে ৫ হাজার ৫’শ টাকার স্থলে মাত্র ৮’শ ৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে মোটর সাইকেল নিতে পারবেন বলে জানান। অন্যাথায় অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোটর সাইকেল নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
পরবর্তীতে আখতারুজ্জামান বিষয়টি বুঝতে পেরে অভিযোগ প্রত্যাহার না করে মৌখিকভাবে প্রত্যাহারের কথা বলে ৮’শ ৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে মোটর সাইকেল ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। সাধারণ জনগণ এবং সরকারী মোটর সাইকেল নিয়ে যদি সড়কে সরকারী কাজে এ ধরনের ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক হয়রানীর স্বীকার হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কি অত্যাচারে রয়েছে ট্রাফিক বিভাগের কাছে। এ ব্যাপারে সচেতন মহল যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে সরকারী এ সকল দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।