জামায়াতের রাজনীতির সেকাল একাল

0

জুবায়ের সিদ্দিকী : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ ৫ জন নেতার ফাঁসি কার্যকর এবং এক নেতার আমৃত্যু কারাদন্ডে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে এই দল। একই অপরাধে দলের আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিচারকার্য চলছে।

সারাদেশে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ক্যাডার ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াত-শিবির কী চুপ থাকবে নাকি রাজপথে আবার জঙ্গি রূপ নেবে। তবে দলটির বর্তমান নেতৃত্ব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কৌশল নিয়েছে বলে দলীয় উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে।
জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামায়াত চুড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নামে দল গঠনের কোন সম্ভাবনা নেই। সরকার তাদের মাঠে নামার সুযোগ না দিলেও দল হিসাবে নিষিদ্ধ করবেনা বলে নেতাদের ধারণা।
জামায়াতের নেতাকর্মীদের মতে, দলীয় কার্যক্রম এখন নেই। নিষিদ্ধ তো হয়েই আছে। ইসিতে নিবন্ধন নেই। বৈঠক করা যায় না। গোপনে বিবাহ অনুষ্ঠানেও যাওয়া যায় না। এ অবস্থায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ছাড়া কিছুই করার নেই।
অনুস্ধানে জানা যায়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কর্মী সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া পাঁচ নেতা ছিলেন দলে সবচেয়ে প্রভাবশালী। তাদের মনোনীত ভারপ্রাপ্ত আমির ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও শেষ পর্যন্ত তারাই পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পাবেন।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নেই জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের দাবিতে হরতালে সহিংসতার কারণে দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়েছে দলটি। পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী নিহত হলেও সাধারন মানুষের সহানুভূতি পায়নি তারা।
দলের অনেক নেতার অভিমত, সরকার জামায়াতকে ‘দমন’ করলেও যুদ্ধাপরাধের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুর কারণেই কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। তাই যুদ্ধাপরাধের শেষ দেখে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে মকবুলের নেতৃত্বাধীন জামায়াত। বর্তমান সময়ে জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আন্ডারগ্রাউন্ডে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা গোপনে চালাচ্ছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এরা কোন কোন স্থানে ছোট খাট অনির্ধারিত সভাও করে থাকে। তবে পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের ওপর কড়া নজরদারি রেখেছে। যার কারণে শহরে বা মফস্বলে তারা কোন ধরণের নাশকতা বা সরকার বিরোধী কার্যকলাপ চালাতে পারছে না।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.