দিলীপ তালুকদারঃ শারদীয় দূর্গোৎসব শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।এটাকে সার্বজনীনতায় রূপ দিতে শতভাগ সফল হয়েছে বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ী ইউনিয়নবাসী।ধর্ম যার যার উৎসব সবার এবার এই শ্লোগানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটলো পূর্ব চেচুরিয়া শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমন্দিরে।দূর্গা পুজা উপলক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান মালার নবমীর সন্ধ্যা রাত্রীতে উক্ত মন্দিরে অনুষ্টিত হয়ে গেল এক হিন্দু-মুসলিমদের মহা মিলন উৎসব।
পূজার সন্ধ্যারতীর পর বিশিষ্ট সিকিৎসক ডাঃ মেজবাহ্ উল হকের নেতৃত্বে বৈলছড়ী ইউনিয়নের সব ক’য়টি পাড়া থেকে কয়েক শত গন্যমান্য মানুষ ফুলের তোড়াসহ র্যালী নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন। যা অভূতপূর্ব। এরপর শুরু হয় ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা ও অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার পালা।পরে শুরু হয় মতবিনিময় সভা।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সিকিৎসক ডাঃ মেজবাহ্ উল হক।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,দেশ ও জাতির সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা এবং সা¤প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদসহ বিবিধ প্রতিকূলতাকে জয় করে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। শত বছরের বাঙালী ঐতিহ্য, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সহাবস্থান,ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন হোক আরো সুদৃঢ়। সেই অঙ্গিকারে বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব চেচুরিয়া শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমন্দিরে দূর্গোৎসব উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সন্ত্রাস,ও জঙ্গিবাদকে না বলুন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন এই অঙ্গিকারে আমাদেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি দ্বীনবন্ধু তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঁশখালী আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবু ছৈয়দ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গোলামুর রহমান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রশিদ আহমদ, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আতিক,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি ব্যবসায়ী অজিত দাশ,তরুন সমাজ সেবক ফারুক আল্ আজাদ, মোঃ করিম, প্রমুখ।
বিশিষ্ট সংগঠক বিধান ভট্টাচার্য্যরে সঞ্চালনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ভট্টাচার্য্য, ত্রিদীপ ভট্টাচার্য্য,নান্টু কুমার দাশ,সাংবাদিক দিলীপ তালুকদার,পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অচ্যুতানন্দ সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর দে,সাবেক ইউপি সদস্য সুজন চৌধুরী, বিকাশ দত্ত, অচিন্ত্য সিকদার, বিকাশ দাশ, দীপংকর দাশ, নুপুর দে, সুমন দাশ, হিরু ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বৈলছড়ি ইউনিয়নের খন্দকার পাড়া হুযুত্যাপাড়া, খদুলাপাড়া, ঠেমাপাড়া ও অভ্যারখীল এলাকা থেকে ফুলের তোড়া নিয়ে সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের শত শত মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ।