রাঙামাটিতে নারী সংগঠনের কর্মসূচীতে পিসিপির হামলা

0

মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি : কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনায় দেয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখান করে পুন:তদন্তের দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত ৪ নারী সংগঠনের অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচীতে হামলা করে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ছিনিয়ে নিয়ে এবং তাদের তাড়িয়ে দিয়ে কর্মসূচী ভন্ডুল করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন এবং অপহরণ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচী শুরু করে ইউপিডিএফ সমর্থিত চার নারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি, সাজেক নারী সমাজ এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন।

সমাবেশে দুই শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করে। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগি সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও যুব সমিতির কিছু নেতা এসে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড কেড়ে নেয় এবং অংশহগ্রহণকারি নারীদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এসময় উচ্চস্বরে চিৎকার করে মেয়েদের কর্মসূচীস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয় পিসিপি নেতারা। আকস্মিক ঘটনায় হতবিহ্বল নারীরা দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রন নেয়। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর সভাপতি নিরূপা চাকমা অভিযোগ করেছেন, পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদক বাচ্চু এবং জুয়েল চাকমার নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচীতে নারীদের উপর হামলার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে, তারা প্রকৃতভাবে কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার বিচার চায়না বরং শাসকগোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তারা কিভাবে মুরুব্বি নারীদের হেনস্থা করতে পারে ? এটা কি ধরণের মানসিকতা ?

এবিষয়ে রাঙামাটি জেলা পিসিপির সাধারন সম্পাদক রিন্টু চাকমা জানিয়েছেন, তারা আমাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করেই রাঙামাটিতে প্রোগ্রাম করতে এসেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি ব্যবস্থা নিতে।

রাঙামাটি কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইউপিডিএফ সমর্থিত নারী সংগঠনের কর্মসূচীতে জেএসএস এর লোকজন হামলা চালিয়েছে শুনে আমি ফোর্স পাঠাই, কিন্তু ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ওরা চলে গেছে। ফলে আমরা কিছুই জানতে পারিনি, কেউ কোন অভিযোগও দেয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.