রামগড়ে চাঁদাবাজি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে

0

শ্যামল রুদ্র, রামগড় (খাগড়াছড়ি) : খাগড়াছড়ির রামগড় ৪৩ বিজিবি (বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাহিদুর রশীদ পিএসসি বলেছেন, রামগড়ে চাঁদাবাজি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, এটি কলেরায় রুপান্তর হওয়ার আগেই লাগাম টেনে ধরতে হবে। এ ধরনের অরাজগতা চলতে দেওয়া যায় না। পাহাড়ি-বাঙালি সবাইকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের কাছে তথ্য আছে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর নামে নিরীহ লোকজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আর এই অশুভ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কিছুসংখ্যক বাঙালিও জড়িত থাকার প্রমান আমাদের হাতে রয়েছে।

শনিবার দুপুরে ৪৩, বর্ডার গার্ডের রামগড় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চাঁদাবাজিই শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বিষয়ে মতবিনিময় ও জনসচেতনতামূলক এক সভায় এ সব কথা তিনি বলেন।
ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ রশীদ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যে আরও বলেন, যেকোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। পাহাড়ি-বাঙালি সমন্বয়ে এলাকায় এলাকায় সম্প্রীতি বৈঠক করতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। বিজিবির টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। সিভিল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি।
এ বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম ভূঞা ফরহাদ, এএসপি মো. হুমায়ুন কবীর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদের, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামল রুদ্র, রামগড় সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মজুমদার, পাতাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিন্দ্র ত্রিপুরা , পৌর কাউন্সিলর আবুল কাসেম ও দেলোয়ার হোসেন, হেডম্যান (পাড়া প্রধান) আপুসু চৌধুরি, মেম্বার থৈমঅং মারমা, সাবেক মেম্বার মো. দুলাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রামগড় উপজেলা ও এর আশপাশের পার্বত্য গ্রামীণ জনপদে সশস্ত্র দুর্বৃত্তদল ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি ও অপহরণের মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। পার্বত্য চট্রগ্রামের দুই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নাম পরিচয়ে বহিরাগত কতিপয় দুর্বৃত্ত এ সব অপকর্মে জড়িত। এদের সহযোগিতায় রয়েছে সুযোগসন্ধানী স্থানীয় কয়েকটি দুষ্ট চক্র। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতার ঘটনায় অতিষ্ঠ স্থানীয় জনসাধারন এখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দিন যাপন করছেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাটালিয়ন সহ-অধিনায়ক সিনিয়র মেজর মো. হুমায়ুন কবীর, বিজিবি সহকারি পরিচালক মো. মোস্তফা, রামগড় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বেলাল হোসাইন, খাগড়াছড়ি দক্ষিনাঞ্চল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, হেডম্যান-কারবারিবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.