মোঃ সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি : রাঙামাটি পর্যটন নগরী হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত। দেশের অন্য সকল স্থান থেকে এই জেলার নাম সকলের মাঝে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। কারণ এখানে রয়েছে পাহাড় আর হ্রদের মিলন মেলা। যা যে কারো ভ্রমণ প্রিয়র মন কেরে নেয়। এই পর্যটন বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও তা বাস্তাবায়ন করা জন্য শান্তি চুক্তি অনুসারে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদকে। তাই নিয়ে কথা হলো জেলা পরিষদের পর্যটন বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক’র সাথে।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অমিত চাকমা রাজুর এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি সিটিনিউজবিডিকে বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের হাতে পর্যটন বিষয়ে পরিকল্পনা করা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছি।
তিনি জানান, রাঙামাটির প্রথম আইডেল ঝুলন্ত ব্রিজকে আরো উঁচু করে সেটাকে উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা সুন্দর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেই পর্যটন এরিয়াকে আরো সুন্দর করার লক্ষ্যে শিশুদের বিভিন্ন খেলাধুলার সরঞ্জামসহ বিভিন্ন বিনোদনের উৎস বসানো হবে।
রাঙামাটির অন্য সকল পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাঙামাটির বালুখালিতে পিকনিক র্স্পট তৈরি করাসহ সেখানের পাহাড় গুলোতে ঝুলন্ত ব্রিজ তৈরি এবং কেবল কার এর ব্যবস্থা করা। সেখানের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাঙামাটির সুবলং ঝড়নার পাশে পর্যটকদের জন্য রেস্টুরেন্টসহ বিনোদনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
রাঙামাটি শহরের ফিসারি বাঁধের উপরে সিঁড়ির মত বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পর্যটকদের জন্য অন্য ধরণের একটি পর্যটন র্স্পট তৈরি করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এতে সৌরবিদ্যুৎ এর মাধ্যমে রাস্তার দুই দ্বারে লাইটিং করা হবে যাতে স্থানটি আরো সুন্দর দেখায় এছাড়া সেখানে পানির উপরে ভাঁসমান রাস্তা তৈরি করে অপর পাশে পানির উপরে রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং অর্থ বরাদ্ধ হলে আগামী বছরে কাজ শুরু করবে জেলা পরিষদ।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটিকে আরো পর্যটন বান্ধব করতে জেলা পরিষদ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। পর্যটন বিষয়ে জেলা পরিষদ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি সাক্ষাৎকারে জানান।
এ বিভাগের আরও খবর