অর্থ ও বাণিজ্য : সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খোদ সারের ডিলাররা। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক সরবরাহকৃত সারের মধ্যে ৩১০ মেট্রিক টন সারই জমাটবাঁধা। ওই সার কৃষক পর্যায়ে বিক্রির অনুপযোগী হওয়ায় ডিলাররা অর্থনেতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন মানিকগঞ্জ জেলা শাখা সূত্রে জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৬৯ জন ডিলারের প্রত্যেককে ৩০ মেট্রিক টন করে মোট ৫১২৬ টন সার সরবরাহ করেছে বিসিআইসি। এর মধ্যে রয়েছে ৩১০ মেট্রিকটন জমাটবাঁধা সার। প্রতি ১২ টন সারের মধ্যে ২ টন করে ব্যবহার অনুপযোগি সার থাকায় ডিলাররা প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। যে কারণে কৃষকদের কাছেও এই সার বিক্রি করা যাচ্ছেনা।
মানিকগঞ্জের ডিলাররাকৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, জমাটবাঁধা এই সার জমিতে প্রয়োগ করলে জমির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ফসলেরও বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস জানান, জমাটবাঁধা সারগুলো কোন অসাধু ব্যবসায়ী ডিলারদের সরবরাহ করেছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে বিসিআইসির চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলে জানান।