সিটিনিউজবিডি : বিএনপির ঘোষিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি সামনে রেখে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সেখানে জলকামান ও সাজোয়া যান নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে আজ সকালে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মহিলা দলের দুই কর্মীকে ধরে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে বাড়তি পুলিশ সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। আজকে আমাদের গণ জমায়েতের মতো কোনো কর্মসূচি নেই। তারপরও পুলিশের এ ধরনের উপস্থিতি নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে উদ্ভুত পরিস্থিতি ঘিরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এজন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কার্যালয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন।
কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইট খোলা থাকলেও গণমাধ্যমের কর্মী ছাড়া পুলিশ কাউকে ভেতরে যেতে দিচ্ছে না বলে জানান শায়রুল কবির।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নয়া পল্টনে বিএনপির একটি কর্মসূচির ফলে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
প্রথমে ৭ নভেম্বর, পরে ৮ নভেম্বরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করার জন্য বিএনপি মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু এরপরই মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-আলম হানিফ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে ৭ নভেম্বরের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি।
ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাধিক রাজনৈতিক দল সমাবেশ করার জন্য আবেদন জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় সেখানে কাউকেই সমাবেশ করতে অনুমতি দেওয়া হবে না।
এরকম পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বিকল্প হিসেবে নয়া পল্টনে ৮ নভেম্বর সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়া হলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি।