সিটিনিউজবিডি : আজ ৯ নভেম্বর সকাল ১১ টায় সিএমপি’র সম্মেলন কক্ষে পুলিশ কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার, পিপিএম এর সভাপতিত্বে অক্টোবর/২০১৬ মাসের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) দেবদাস ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পিপিএম-সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস.এম. মোস্তাইন হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর ও দক্ষিণ) পরিতোষ ঘোষ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর ও পশ্চিম) মোঃ মারুফ হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) সৈয়দ আবু সায়েম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোঃ মোখলেছুর রহমান, সকল সহকারী পুলিশ কমিশনার, র্যাব, সিআইডি, এপিবিএন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এর প্রতিনিধিসহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় অক্টোবর/২০১৬ মাসে নগরীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা, অপরাধ সংঘটন ও নিবারণ, মামলা রুজু ও নিষ্পত্তির বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও ভাল কাজের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন স্তরের ৬৫ (পয়ষট্টি) জন পুলিশ সদস্য ও সিভিল স্টাফ’দেরকে নগদ অর্থ ও সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। অক্টোবর/২০১৬ ইং মাসে শ্রেষ্ঠ বিভাগ, শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার, শ্রেষ্ঠ থানা, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক, শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (অস্ত্র উদ্ধার) এবং শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (মাদক উদ্ধার) শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল) এর সম্মাননা সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন যথাক্রমে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ আবু মোহাম্মদ শাহজাহান কবির, অফিসার ইনচার্জ, চান্দগাঁও থানা, পুলিশ পরিদর্শক মহিউদ্দিন মাহমুদ, অফিসার ইনচার্জ, পাঁচলাইশ থানা, এসআই/মোঃ শাহিনুল ইসলাম, বন্দর থানা, এসআই সঞ্জয় গুহ, চান্দগাঁও থানা, এসআই/আব্দুর রব, বায়েজিদ বোস্তামী থানা।
পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে গত অক্টোবর/২০১৬ মাসে নগরীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় সিএমপি’র পুলিশ সদস্য সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল ইউনিটকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্য সকল থানা, ডিবি সহ অন্যান্য সংস্থাকে যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন। মাদক দ্রব্যের ব্যবহার নির্মূল করার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুত, মাদক নিয়ন্ত্রন প্রতিরোধ কমিটি গঠন, মাদক ব্যবসায়ীদের পুর্নঃবাসন, মাদক/ইয়াবা আসার রুট বন্ধ করতঃ মাদক বিরোধী সাড়াঁশি অভিযান ও মাদকের বিরুদ্ধে সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের জিরো টলারেন্স মনোভাব প্রদর্শনের নির্দেশনা প্রদান করেন। অধিকন্তু কমিশনার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিশেষভাবে ডিবি সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জদেরকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও উক্ত সভায় সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে এলাকায় অপরাধ দমন সভার মাধ্যমে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতঃ প্রতিটি থানার প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি পুলিশ সংক্রান্তে কমিটি গঠন করে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, গাড়ি চুরি প্রতিরোধ, উদ্ধারকৃত চোরাই গাড়ি অ্যাপস’র মাধ্যমে এন্ট্রি করা সহ পোশাকী পুলিশ টহল কার্যক্রম জোরদারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় পুলিশ কমিশনার নগরবাসীর নিকট পুলিশের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।