সিটিনিউজবিডি : আজ ১৯ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে প্রবীণ রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট কবির চৌধুরী সভাপতিত্বে মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আলনোমান বলেন, দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনঃরুদ্ধার করার জন্য এই মুহুর্তে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠা খুবই প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, ৭১ সালে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, স্বাধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল যে চেতনা নিয়ে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনঃরুদ্ধারের জন্য সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করলে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার হবে। অন্যথায় স্বৈরাশাসন আরো দীর্ঘায়িত হবে।
তিনি আরো বলেন, মাওলানা ভাসানী ও শহীদ জিয়ার দেশপ্রেম আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল এক ও অভিন্ন। ভাসানী স্বায়ত্বশাসন, স্বাধিকার মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ধারণ করে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতন্ত্র চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। সে জন্য রাস্তায় থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীসহ আওয়ামীলীগ পন্থিরা মিলে একসাথে আন্দোলন করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আরো আগে অর্জন হতো। মানুষের ভাত-কাপড়ের অধিকার প্রশ্নে মাওলানা ভাসানী কারো সাথে আপোষ করেন নাই।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন পুনঃর্গঠন নিয়ে গতকাল যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন এ প্রস্তাবনার আলোকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্থ করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্য উক্ত প্রস্তাবের বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের মতামতের ভিত্তিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। নতুবা রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনিভূত হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, মজলুল জননেতা মাওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। এদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পথনির্দেশক ছিলেন। কালজয়ী এই মহান নেতাকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টার মর্যাদাদান এবং সরকারীভাবে মাওলানার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দাবী জানান।
সভার অন্যতম আলোচক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসিনা জাকারিয়া (বেলা) বলেন, মাওলানা ভাসানীকে সম্মান প্রদর্শন করলে তবেই জাতি আরো সম্মান পাবে।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট কবির চৌধুরী বলেন, ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে মাওলানা ভাসানী ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে জানান দেন। শ্রমিক নেতা এম. সাত্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এডভোকেট সমীর কর, আহমেদুর আলম রাসেল, সৈয়দ আলম, ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, এম.এ. সবুর, সৈয়দ নুরুল হুদা, ওসমান গণি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম বাদল, এডভোকেট আবদুল মালেক, এড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কাশেম শরিফ, জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ হাশেম, নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মোশাররফ হোসেন, আবদুল মান্নান প্রমুখ।