শহীদ জমির-ফরিদের ত্যাগ, কখনোই বৃথা যাবে না – নোমান

0

সিটিনিউজবিডি :  চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক জিএস শহীদ জমির উদ্দিন ও সাবেক পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শহীদ জাহাঙ্গীর ফরিদের ২২তম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল। অদ্য বিকাল ৪ ঘটিকায় নগরীর কাজির দেউরী এলাকায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মুহাম্মদ সিরাজ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সদস্য সচিব ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু টিংকু দাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম। উক্ত স্মরণ সভা থেকে শহীদ জমির ফরিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সূর্যসন্তান ছিলেন শহীদ জমির-ফরিদ। আমার চোখে দেখা কয়েকজন মেধাবী সংগঠকদের মধ্যে শহীদ জমির-ফরিদ ছিলেন অন্যতম। তাদের আত্মত্যাগের ফলই হচ্ছে আজকের এই বৃহৎ, শক্তিশালী ও সুসংগঠিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। চট্টগ্রামে ছাত্রদলকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তারা ঘরে ঘরে গিয়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেছিলেন। আজকের ছাত্রদল নেতাকর্মীদেরকে শহীদ জমির-ফরিদের আত্মত্যাগের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী হলেই দল শক্তিশালী হবে, আর দল শক্তিশালী হলেই, দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। দলকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই আমরা শহীদ জমির-ফরিদের ত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারব। শহীদ জমির-ফরিদের ত্যাগ কখনোই বৃথা যেতে পারে না।

প্রধান বক্তা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ জমির-ফরিদকে হত্যা করার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে অজস্র ছাত্রজনতার ভালোবাসা ও আদর্শকে। তাদের সাংগঠনিক মেধা ও কর্মকাণ্ডই তাদেরকে চট্টলার ছাত্র জনতার নয়নমণি করে তুলেছিল। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তাদের সমকক্ষ হতে না পেরে এবং ছাত্র রাজনীতিতে তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ঈর্ষান্বিত হয়েই তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের কতিপয় সন্ত্রাসীরা। শহীদ জমির-ফরিদের মৃত্যু কখনই হতে পারে না। তারা আজো বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয়ে এবং চিরকাল অমর হয়ে থাকবেন আমাদের আদর্শ ও চেতনায়।

বিশেষ বক্তা আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ জমির-ফরিদ আমাদের চেতনা ও অনুপ্রেরণা। তাদের মৃত্যুতে আজোও আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ড আমাদেরকে প্রচণ্ডভাবে বেদনাহত করেছে। তাদের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণ করা আমাদের নৈতিক ও আদর্শিক দায়িত্ব।
বিশেষ অতিথি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ইতিহাসে কয়েক জন বীর সেনাপতির মধ্যে শহীদ জমির-ফরিদ অন্যতম। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে গিয়েই তারা প্রতিপক্ষ সংগঠন সমূহের প্রতিহিংসার শিকার হন। সেই কতিপয় সন্ত্রাসীরা শহীদ জমির-ফরিদকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে চট্টলার ছাত্র সমাজের আশা ও চেতনাকে। তাদের চেতনা ও আদর্শ আমাদের রক্তের শিরায় শিরায় চিরকাল বহমান থাকবে।

উক্ত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দীন শহীদ, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দিন সোহেল, আলী মর্তুজা খান, কেন্দ্রীয় সদস্য জায়েদ বিন রশিদ, শেখ রাসেল, জমির উদ্দিন নাহিদ, কোতোয়ালী থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুর রহমান রিপন, হালিশহর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন শাহীন, বাকলিয়া থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকিম মাহমুদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.