মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ফেরত ১২৫

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজার ও বান্দবান সীমান্ত দিয়ে বিজিবির কঠোর কড়া কড়ির পরও মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা সীমান্ত রক্ষী বিজিবির চোঁখ ফাকি দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ক্রমশে বাড়ছে। আরকান রাজ্যে রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালুগু মুসলমানদের উপর চরম নির্যাতন চালাচ্ছে এবং তাদের বসত বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে ছোট ছোট নৌকা যোগে টেকনাফ মোছনী, লেদা, ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর সকালে টেকনাফ থেকে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার গামী যাত্রী বাহি সিএনজি গাড়ীতে করে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিতে ঢুকার আগেই বালুখালী পানবাজারস্থঢ়রপ-১ বিজিবির চেক পোষ্টে ৬৬ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। তৎমধ্যে ১১ জন পুরুষ, ২০ জন মহিলা ও ৩৫ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজিবি সদস্যরা যাত্রী বাহি গাড়ীতে তল্লাসি চালিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ১২৫ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু কে আটক করার পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবির সদস্য জোরদার করা হয়েছে। ১৯৭৮ সালে মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর নির্যাতন নীপিড়ন শুরু হলেঢ়রপ-২ রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে চলে আসলে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া হয়। কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার পর বেশির ভাগ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাহিরে গিয়ে লোকালয়ে আশ্রয় নেন। ১৯৯১ সালের শেষের দিকে আবারো আরকান রাজ্যে সংখ্যলুগু মুসলমানদের উপর চরম অত্যাচার, নির্যাতন, নীপিড়ন চালানোর কথা বলে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এদেশে চলে আসেন।

২ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত গেলেও কুতুপালং নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে রেজিষ্ট্রাট ৩২ হাজার রোহিঙ্গা রয়ে যায়। এ ছাড়াও টেকনাফের মোছনী, লেদা ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিতে লক্ষাধিক আনরেজিষ্ট্রাট রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এ ফাকে আবারো মিয়ানমার আরকান রাজ্যের মংডু শহর এলাকায় গত ৯ অক্টোবর সহিংসতার ঘটনা নিয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর আবারো চরম নির্যাতন বাড়ী ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা মুসলমানরা ফের বাংলাদেশে ফাড়ি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। যাদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা মংডু জেলার নাগপুরা থানা খিয়ারী পাড়া গ্রামের বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.