চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, পেশাগত দায়িত্বপালনে স্বাস্থ্যসেবায় পরীক্ষিত চিকিৎসকদের প্যানেলকে আমি সমর্থন করছি। ডাঃ নাসির-ডাঃ মিনহাজ পরিষদের প্রতিজন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নে তাঁরা প্রথম থেকেই আমার পাশে ছিল। তাঁদের সহযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়িত হয়েছে।
তাঁরা অতীতে বিএমএ’র চট্টগ্রামের যে অনিয়ম বিশৃঙ্খলা হয়েছে তা উত্তরনের লক্ষ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানে জনগনের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ তাঁরা ব্যবসায়ী নন ; তাঁরা সবসময় জাতিকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে আমার অঙ্গীকারের পাশাপাশি ছিলেন। আমি তাদেরকে নৈতিকভাবে সমর্থন করি।
আজ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের আগামী নির্বাচনে প্রার্থী ডাঃ নাসির-ডাঃ মিনহাজ পরিষদ তাঁর সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি আন্দোলন সংগ্রামের মানুষ। চিকিৎসকদের নিয়ে আমি দূর্যোগে ও ক্রান্তিকালে কাজ করেছি। মুক্তিযুদ্ধকালে অনেক চিকিৎসক আমার পাশে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ডাঃ শামসুদ্দিন আহমেদ ও ডাঃ মুলকুতুর রহমান সহ আরো অনেকে। আমি কামনা করি শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশে চিকিৎসক সমাজ জনগনকে ব্যবসায়ী মনেবৃত্তি পরিহার করে তাঁদের সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিবেন। এই সময় ডাঃ নাসির-ডাঃ মিনহাজ পরিষদের নেতৃবৃন্ধ তাঁকে অবহিত করেন যে, বিগত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীকে পরিকল্পিতভাবে পরাজিত করা হয়েছে এবং সাধারণ চিকিৎসকদের ভোটের অধিকার ছিন্ন করা হয়েছে। এব্যাপারে আমাদের অভিভাবক হিসেবে আপনার সহযোগিতা চাই।
এর জবাবে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি আপনাদের পাশে আছি। কোন অনিয়ম হতে দেব না। আপনারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কেউ যদি তা বানচাল করতে চাই তার বিরুদ্ধে আমি সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। আমি লক্ষ্য করেছি, নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘন করে একজন অচিকিৎসক ব্যক্তি একটি পাল্টা প্যানেল ঘোষণা করেছেন। এটা কিছুতেই শুভবার্তা বয়ে আনতে পারে না। কারণ তিনি যাদের পক্ষে প্যানেল ঘোষণা করেছেন তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য সরকারী হাসপাতালের অনিয়ম ও লুটপাটের সাথে জড়িত।
ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহামুদের সভাপতিত্বে ও ডাঃ আ.ম.ম মিনহাজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, স্বাচিপ ও বিএমএ সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডাঃ নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ আ.ন.ম ফারুক অর রশীদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ মো: আবু তৈয়ব, ডাঃ সরফরাজ খান চৌধুরী, সাবেক সহকারী পরিচালক ডাঃ আলী আকবর ভূইয়া, সাবেক ইউএইচএফসি ডাঃ ফিরোজ খান, ডাঃ হারুন অর রশীদ, অধ্যাপক ডাঃ এম.এ রউফ, ডাঃ নাজির মোহাম্মদ খান টিপু, ডাঃ আবু মনসুর মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন খালেদ, ডাঃ আবুল মনসুর মো: দিদারুল আলম, ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ডাঃ বিপ্লব পালিত, ডাঃ সেলিম আহমেদ, ডাঃ জামাল উদ্দিন, ডাঃ সুরঞ্জিত বিশ্বাস, ডাঃ প্রদীপ চৌধুরী, ডাঃ নাহিদা আকতার, ডাঃ সুমি, ডাঃ দিদারুল মুনীর, ডাঃ মুশফিকুর রহমান, ডাঃ কাজী মো: ইদ্রিস, ডাঃ সুরজিত ঘোষ, ডাঃ সৌমেন পালিত, ডাঃ ধীমান বড়ুয়া, ডাঃ অজয় দাশ, ডাঃ ব্লিব বড়ুয়া, ডাঃ ইকবাল উদ্দিন আহমেদ, ডাঃ সৌমিত্র বড়ুয়া, ডাঃ নোবেল কুমার বড়ুয়া, ডাঃ সৌমনে বড়ুয়া, ডাঃ তাহিয়া আহমেদ, ডাঃ জিশানুর রহমান, ডাঃ মাইকেল চৌধুরী, ডাঃ জয়জিৎ চৌধুরী, ডাঃ আরিফ ইসলাম, ডাঃ মুনতাসির উদ্দিন প্রমূখ।