রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মানব বন্ধন

0

মো: সাইফুল উদ্দীন,রাঙামাটি : আরকানে যে মুসলমানরা বসাবাস করে তাদেরকে সে দেশের সেনা বাহিনী নির্মম ভাবে হত্যা ও নির্যাতন করছে। তাদের হাত থেকে শুধু মাত্র পুরুষ নয় মহিলা ও শিশুরাও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রোহিঙ্গা জাতি কোন আজকে জাতি-গোষ্টি নয়। তারা মায়ারমারের রাষ্ট্রের আদি-আদিবাসী। তাদের উপার এমন বর্বরতার নির্যাতন সহ্য করা যায় না।

আমরা চাই তারা যাতে তাদের দেশে সম্মানের সাথে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই বিষয়ে আলোচনা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং এর সাথে সাথে যারা প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদেরকে সঠিক ভাবে দেখান আহ্বান জানাই সরকারকে। এই বিষয়ে অতিদ্রুত বিশে^র নেতাদের পদক্ষেপ গ্রহন করার আহ্বান জানান মানব বন্ধনের বক্তারা।

সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রাঙামাটি জেলা যুবসেনা ও ছাত্রসেনার উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সহ-সভাপতি মাওলানা মো. শফিউল আলম আল কাদেরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম এ মোস্তফা হেজাজী, কেন্দ্রীয় যুবসেনার অর্থ সম্পাদক আখতার হোসেন চৌধুরী, জেলা যুবসেনার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর, জেলা ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক মো. তারেক আজিজ, ছাত্রসেনা কলেজ শাখার সভাপতি মো. ইকবাল করিম প্রমূখ।

মানব বন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, আমরা এই নির্যাতিত জাতিকে রোহিঙ্গা নামে নয়, আরকার মুসলমান হিসাবে চিনতে চাই। তারা আরো বলেন, রসূলে পাক (সা:) যখন পৃথিবীতে আগমন হয়েছিলো তখন এই পৃথিবী অন্ধকারে ডুবে ছিলো। চার দিকে হত্যা আর নির্যাতন হতো।

রাসূল (সা:) এসে এই হত্যা ও জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলো। এমনও বলেছিলো ‘কোন অমুসলমান যদি তোমার কাছে আশ্রয় চাই তবে তাকে আশ্রয় দেওয়া তোমার দায়িত্ব বরং এটা ছুয়াবের কাজ’। তাই আমরা চাই সকলে মিলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক সাথে বসবাস করবো। যারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ কর্মকান্ড করে তাদের কোন জাত ও ধর্ম থাকতে পারে না।

কারণ আমরা নিজেরাই দেখছি এক দেশে মুসলমানের পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী করছে আবার অন্য দেশে অন্য ধর্মের পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী করছে, মুসলমানদেরকে হত্যা করছে। তাই সন্ত্রাসীদের ধর্ম নেই।

মানব বন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাঠাঁল তলি জামে মসজিদের সামনে এসে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.