বাঁশখালীর ইটভাটা গুলোতে পুঁড়ছে বনের কাঠ

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালীতে অবস্থিত ইটভাটা গুলো শীত মৌসুমকে সামনে রেখে তাদের কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি কাঠ পোড়ানোর মহোৎসবে মেতে উঠেছে। প্রতিটি ইট ভাটা গুলোতে সুনির্দিষ্ট চিমনী ও কয়লার মাধ্যমে ইট পোড়ানোর নিয়ম থাকলেও সেটা কোন অবস্থাতেই মানছে ইট ভাটার মালিক গুলো।

অপরদিকে পাহাড়ি কাঠ পোড়ানোর পাশাপাশি পাহাড় থেকে মাটি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই সব ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে। বাঁশখালী সাতকানিয়া সীমান্তে চূড়ামণি নামক এলাকায় একই স্থানে পাঁচটি ইটভাটা বর্তমানে তাদের ইট তৈরীর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চারটি ইট ভাটা সুনির্দ্দিষ্ট চিমনী ব্যবহার করলেও একটি ইট ভাটাও তাও করছে না। তার উপর পাহাড়ি মাটি ব্যবহার করেছে চলেছে। অপরদিকে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে কয়েকশ গজের ব্যবধানে তিনটি ইট ভাটা তাদের ইট পোড়ানোর পাশাপাশি পাহাড়ি কাঠ পোড়ানোর উৎসবেও মেতে উঠেছে।

দক্ষিণ জলদী এলাকা, চাম্বল ও শেখেরখীল এলাকায় অবস্থিত ইট ভাটা গুলো একই ভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, এসব ইটভাটা গুলোর অধিকাংশ কোন কাগজপত্র ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই। অনেকাংশে ছাড়পত্র থাকলেও সেই ছাড়পত্রে যেসব নিয়ম মেনে ইট পোড়ানোর নিয়ম রয়েছে সেগুলো মানছে ইট ভাটার গুলো। ধানি জমি ও পাহাড় থেকে মাটি কেটে মজুদ করে তা দিয়ে তৈরী হচ্ছে ইট। বাঁশখালীতে অবস্থিত এইসব ইট ভাটা সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি না মানলেও পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের ব্যাপারে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয় জনগণের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কারো কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বাঁশখালীতে অবস্থিত ইট ভাটা গুলোতে কাঠ পোড়ানো, পাহাড়ি মাটি ও ধানি জমিনের মাটি ব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ জনগণ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.