আনোয়ারার রুস্তমহাটে ফুটপাত অবৈধ দখলে

0

জাহেদুল হক, আনোয়ারা : আনোয়ারার বটতলী রুস্তমহাটের ফুটপাথগুলো চলে গেছে ব্যবসায়ীদের দখলে। বাজারের প্রায় সব রাস্তার ফুটপাথ দখল করে বসানো হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। এ কারণে পথিকরা হারিয়েছে হাঁটাপথ। নিরুপায় হয়ে মূল রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটছেন পথচারীরা। ফলে যখন-তখন ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ বাজারে প্রতিদিন সমাগম ঘটে হাজার হাজার মানুষের। তাছাড়া সেখানে হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়ার (রহ.) মাজারের অবস্থান হওয়ায় জেয়ারত করতে যান হাজার হাজার ভক্ত-অনুরক্ত। যার ফলে বাজারের সড়ক দিয়ে প্রতিক্ষণ চলাচল করে বহুমূখী যানবাহন। কিন্তু ফুটপাথের অবৈধ দখল আর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর কারণে যান চলাচল তো দুরের কথা সাধারণ মানুষের হাঁটার জায়গা থাকে না। একদিকে সড়কে যানজট অন্যদিকে ফুটপাথ অবৈধ দখলের ফলে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। ফুটপাথ দখল করে অবৈধভাবে পসরা সাজানো হকারদের কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে।


ফুটপাতের দোকানিরা জানান, স্থানভেদে ফুটপাথের পজেশন বিক্রিসহ দৈনিক ভাড়া আদায় করে ইজারাদারের নিয়োজিত কর্মীরা। ভ্যান গাড়িতে করে ভ্রাম্যমান খাবার দোকানিদের পর্যন্ত টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে হয়। এ পরিস্থিতিতে রুস্তমহাট ফুটপাথ অবৈধ দখল থেকে আদৌ মুক্ত হবে কিনা সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন।
তবে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রুস্তমহাটের ইজারাদার মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, চাঁদা নয়, বাজারের হাসিল আদায় করা হয়। বাজারের নির্দিষ্ট শেড রয়েছে। সেগুলো অব্যবস্থাপনার কারণে দোকানিরা সেখানে বসছে না। দীর্ঘদিন ধরে তারা ফুটপাথ দখলে থাকায় চেষ্টা করেও তাদের সরানো যাচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, শুধু মূল রাস্তার ফুটপাথই যে দখল হয়েছে তা নয়, বাজারের অলিগলির ফুটপাথও দখলে নিয়েছে হকাররা। আবার অনেকে ফুটপাথে গড়ে তুলেছে স্থায়ী অবকাঠামো। বিশেষ করে বটতলী ভূমি অফিস থেকে পাক মোহাম্মদী ফার্মেসী পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে বসা মৌসুমী ফলের দোকানগুলো যানজটের মূল কারণ। তার একশ গজ দুরে রাস্তার ওপর বসানো হয়েছে সান্ধ্যকালীন মাছের বাজার। এতে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। যত্রতত্র এমন দোকানপাট বসাতে যানজটসহ পথচারীদের সমস্যার পাশাপাশি বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে রুস্তমহাটের পরিবেশ। কেননা এসব দোকানপাটের ফলে দেওয়া ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে চারপাশ। এরপরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোনো নজরদারি নেই। জানতে চাইলে বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী জানান, যানজট নিরসনে অবৈধ দখলে থাকা হকারদের পরিকল্পিতভাবে পূনর্বাসন করতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছে। তাদের মতামত নিয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গৌতম বাড়ৈ বলেন, অচিরেই বাজারের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.