সিটিনিউজবিডি : আজ ২৭জুন ২০১৫ সকাল ১১টায় আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম-এ দেশের বৃহত্তর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্হা ব্র্যাক, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) কর্মসূচি কমিউনিটি ওয়াচগ্রুপ সভার আয়োজন করে । সভায় বক্তারা বলেছেন, যৌন হয়রানি, ধর্ষন, নারী নির্যাতনসহ যেকোন ঘটনায় ফলোআপ করা খুবই প্রয়োজন।এবিষয়ে পুলিশকে অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে হবে এবং বিদ্যালয় শুরু ও শেষের সময় পুলিশ টহলের ব্যবস্হা করতে হবে।
অপসংস্কৃতি যৌন হয়রানির অন্যতম কারণ উল্লেখ করে এটি বন্ধে তথ্য মন্ত্রনালয়কে কাজ করতে বলেন। বক্তারা আরও বলেন, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করতে হবে। বর্তমানে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমেও যৌন হয়রানি হচ্ছে এটি রোধে ব্র্যাককে কাজ করতে হবে । সভায় বক্তারা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণে অভিভাবকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং অভিভাবকদেরকে এ বিষয়ে আরও বেশী সচেতন এবং সংবেদনশীল হওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় উপস্হিত ছিলেন আগ্রাবাদ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া সোসিওকালচারাল এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক জনাব এবিএম রেজাউল করিম, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের অধক্ষ্য কৃষ্ণ কুমার দত্ত, আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব সালমা আখতার, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জনাব জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, জনাব মোস্তফা কামাল লিটন, ডবল মুড়িং থানার সাব ইন্সপেক্টর জনাব অনুরাধা পাল, ব্র্যাকের সেক্টর স্পেশালিষ্ট মেহেদী হাসান ও জুনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ফারহানা ইয়াসমীন প্রমুখ।
সভায় জানানো হয় ‘নারী ও কিশোরীদের প্রতি সব রকম সহিংসতা ও যৌন হয়রানি নির্মূলকরণে’ ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগ এক বছরের পাইলটিং শেষে ‘মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন)’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচি যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, আইনজীবি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, কাউন্সিলর, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনী, সাংবাদিকদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছে।
শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে শাস্তি বিধান করলেই যৌন হয়রানির মত সামাজিক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। যথাযথ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও সহিংস সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে নারী-পুরুষের অংশীদারিত্বমূলক, সহমর্মিতাপূর্ণ, দায়িত্বশীল, সু-সম্পর্কের বিকাশের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। এ লক্ষে সকলকে সম্মিলিত ভূমিকা পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য মেজনিন কর্মসূচি চট্টগ্রামে ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সারাদেশে ৪০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩টি জেলায় সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে।