মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মামলার সাক্ষ্য সমাপ্ত

0

সিটিনিউজবিডি :   মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিচারাধীন হত্যাপ্রচেষ্টা মামলায় রোববার (২৮ জুন) আরও দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর পর আদালত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন।

যে ঘটনা নিয়ে মামলা অর্থাৎ লালদিঘির পাড়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে মারামারির বিষয়ে সাক্ষ্যে দুই সাবেক নেতা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ হয়েছিল। সেখানে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদিকে আঘাত করতেও তারা কাউকে দেখেনি।

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো.নূরুল হুদা’র আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক ভূঁইয়া এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা আব্দুল হাই।

এর আগে ২৩ জুন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহুরুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুর রহমান ও কেবিএম শাহজাহান আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তারাও সমাবেশে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছিলেন।

চট্টগ্রামের জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম বলেন, আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। এ মামলায় মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য হয়েছে। এর মধ্যে আটজন আগে এবং সাতজন নতুনভাবে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর আদালত আগামী ৭ জুলাই ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী বলেন, রোববার যে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের কেউই ঘটনাস্থলে কোন মারামারি দেখেননি বলে আদালতকে জানিয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ শেষ হতে তারা দেখেছেন।

১৯৯৩ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদীঘি ময়দানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় মারামারির ঘটনায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

মামলার আসামি হিসেবে মেয়র ছাড়াও আছেন আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারি, চসিকের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীসহ সাতজন। আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাদের কেউই আদালতে ‍হাজির ছিলেন না।

আদালত সূত্র জানায়, হামলা ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুফিয়ান। এ মামলার ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছিলেন আদালত।

এরপর ১৯৯৪ সালে উচ্চ আদালতে রিভিশন মামলা করেন আ জ ম নাছির। সেই থেকে মামলা স্থগিত থাকলেও ২০১৪ সালের ৯ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও আবু জাফর সিদ্দিকী রিভিশন মামলাটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। আদেশে মামলার ১ থেকে ৮ নম্বর সাক্ষীকে পুনরায় (রি-কল) জেরা করা এবং মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়া হয়।

নির্দেশনাটি এক বছর পর গত ৩ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে পৌঁছায়। এরপর আবারও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.