সিটিনিউজবিডি : বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ কর্তৃক পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)উদযাপন উপলক্ষে ৪ দিনব্যাপি তামাদ্দুনিক প্রতিযোগিতার ৪র্থ দিনে আজিমুশ্শান ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল ১৩ই ডিসেম্বর বাদে মাগরিব বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে মাননীয় পীর বাহ্রুল উলুম শাহ্ সূফী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (মঃজিঃআঃ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন- আল্লাহর প্রবর্তিত ও রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রতিষ্ঠিত ইসলামী জীবনাদর্শের দুটি দিক ও বিভাগ রয়েছে। এক- জাগতিক, দুই- আধ্যাত্মিক। মানব জাতির জাগতিক জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে যেমন- ইসলামের পূর্ণাঙ্গ আদর্শ বিদ্যমান; তেমনি আল কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে রাসূলুল্লাহর (সঃ) আধ্যাত্মিক শিক্ষার অনুসরণ ব্যতীত মানব জীবনের সকল কর্মকা- সারবত্তাহীন খোলসরূপে চিহিৃত হতে বাধ্য। রাসূলুল্লাহর (সঃ) জীবন চরিত্র অধ্যায়ন করলে সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায় যে, তাঁর নুবুয়্যাতের সূচনাকালেই জন মানবের সংস্পর্শ ত্যাগ করে হিরা গুহায় ধ্যান মগ্ন অবস্থান গ্রহণের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা সুস্পষ্ট।
তাই আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পূর্ণাঙ্গ জীবন আদর্শ ছিল বাস্তব জাগতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয়। আধ্যাত্মিকতা রাসূলুল্লাহর (সঃ) নুবুওয়্যাতি জীবন ও ইসলামী জিন্দেগীর অবিচ্ছেদ্য অংশ। আল্লাহ তা’আলার স্বয়ং তাঁকে আধ্যাত্মিকতার প্রশিক্ষণ দান করেছেন। তিনি আরো বলেন- খোদা খুশি হন কুরআনের তা’জিমের মধ্যে, খোদা খুশি হন নবীর তা’জিমের মধ্যে। মাহে রবিউল মাস হলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাস হলো মানবজাতির মুক্তির মাস। মানবতার পরমবন্ধু বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (স.) এর শুভআগমনের কারণে এ মাস অত্যন্ত মর্যাাদাপূর্ণ। রাসূলে পাক (স.) যে আদর্শ নিয়ে এ পৃথিবীতে এসেছিলেন সেই আদর্শ দিয়ে বিশ্ববাসীকে আলোকিত করেছিলেন। তাই মুসলিম উম্মাহকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলে পাক (স.) সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও নাতে রাসূল (সঃ) পরিবেশনের পর স্বরচিত কবিতা “নজরে আকিদাত” পেশ করেন বায়তুশ শরফের পীর ছাহেব কেবলা (মঃজিঃআঃ)।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) এর শীর্ষক আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন- বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষক ড. মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান, মাওলানা শফিক আহমদ, মাওলানা মীম ছিদ্দীক আহমদ ফারুকী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম এর পরিচালক মাওলানা আবুল হায়াত মোহাম্মদ তারেক, মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা মামুনুর রশিদ নূরী, মাওলানা কাজী জাফর আহমদ।
আজিমুশ্শান ওয়াজ মাহফিল পরিচালনা করেন মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশের মহাসচিব বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা মামুনুর রশিদ নূরী।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শাইখুল হাদীস মাওলানা জয়নুল আবেদীন, খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মীর আনোয়ার আহমদ। সাধারণ সম্পাদক আল্হাজ্ব লুৎফুল করিম, মাসিক দ্বীন-দুনিয়ার প্রধান সম্পাদক মাওলান এ.কে মাহমুদুল হক, আহ্বায়ক আলহাজ্ব রফিক আহমদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাওলানা মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ, মাসিক দ্বীন দুনিয়ার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ, হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এ.বি.কে. মহিউদ্দীন শামিম, অধ্যাপক মাওলানা ফৌজুল কবির, মাওলানা আব্দুল হাই নদ্ভী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন বেলাল, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা ফরহাত আলম, অধ্যাপক জামাল উদ্দীন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক, আল্হাজ্ব মুহাম্মদ মিফতাহুল হুদা, মাওলানা হাফেজ নিজাম উদ্দীন, মাওলানা মোহাম্মদ মূসা, মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দীন, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আব্দুশ শাকুর, মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা নুরুদ্দীন মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলমগীর, মীর মীর মোহাম্মদ হাসান জাবেদ ফরহাদ, মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান, মুহাম্মদ এহছানুল হক মিলন সহ বহু ভক্ত ও অনুরক্তগণ।
পরিশেষে বায়তুশ শরফের মাননীয় পীর ছাহেব বাহরুল উলুম শাহসুফী আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (মঃজিঃআঃ) মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।