জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

0

সিটিনিউজবিডি : প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের যে কোনো পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস নিয়ে দায়িত্ব পালন ও জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবিরোধী সরকারের কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘শেষ বিচার তো আল্লাহ করবেন। কাজেই এভাবে মানুষকে উজ্জীবিত করতে হবে ও সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদবিরোধী ভূমিকা প্রত্যেককে পালনে সচেষ্ট হতে হবে।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ৯৮ ও ৯৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপণী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাটাই সবার আগে শিখতে হবে-সেটাই পালন করতে হবে। সেটাই কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ। কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে নয়, সে দায়িত্ব তো আল্লাহ নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা তার সরকারের জঙ্গিবাদবিরোধী দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আজকে ধর্মের নামে উন্মাদনা করে মানুষ হত্যা করে একদিকে যেমন ইসলাম ধর্মকে মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, তেমনি মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। কাজেই এসবের থেকে মানুষকে কীভাবে দুরে রাখা যায়, সে বিষয়ে মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে আমরা একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছি। যেন ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ কখনও বাংলার মাটিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নবীন কর্মকর্তাদের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা সব সময়ই আপনাদের থাকতে হবে। কোনো এলাকায় কোন জিনিষটা উৎপন্ন হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন নতুন করে আবার একটা উৎপাত শুরু হয়েছে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ। যে কোনোভাবেই হোক বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতেই হবে। সেজন্য আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করার একটা উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফল আমরা পাচ্ছি। কারণ প্রত্যেকটা মানুষই শান্তিতে বসবাস করতে চায়। ইসলাম ধর্ম কখনও মানুষ খুন করতে বলেনি। মানুষের জীবন থাকবে কি থাকবে না, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিয়েছেন। এটা তো মানুষের হাতে নেই। এটা মানুষকে বোঝাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর ড. এম আসলাম আলম।

রেক্টর পদক জয়ের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন ’৯৮ ও ’৯৯তম কোর্সের রেক্টর পদক জয়ী মো. সোহাগ হাওলাদার ও মো. নাহিদুল করিম।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ’৯৮ এবং ’৯৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র এবং শীর্ষস্থান অর্জনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করেন।

৯৮তম কোর্সের মোধাক্রম অনুয়ায়ী প্রথম স্থান অধিকারকারি মো. সোহাগ হাওলাদার, দ্বিতীয় প্রণব কুমার ঘোষ এবং তৃতীয় আসিফ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

৯৯তম কোর্সে প্রথম স্থান অধিকারকারি মো. নাহিদুল করিম, দ্বিতীয় মো. এনামুল হক এবং তৃতীয় মো. মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে ৯৮ ও ৯৯তম কোর্সের রেক্টর পদক জয়ী মো. সোহাগ হাওলাদার ও মো. নাহিদুল করিমের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী একাডেমি লাইব্রেরীতে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের উদ্বোধন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.