চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে চন্দনাইশ প্রার্থীরা

0

মো. দেলোয়ার হোসেন,চন্দনাইশ : আগামী ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১ নং সাধারণ সদস্য পদে চন্দনাইশে ৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফরম জমা করার পর প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। গত ১৪ ডিসেম্বর চন্দনাইশ উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবু আহমদ জুনু (তালা), আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. সিহাব উদ্দিন রতন (হাতি), আবু হেনা ফারুকী (টিউবওয়েল), আবুল কালাম (অটোরিক্সা) প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা যায়।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। চন্দনাইশের ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন, পটিয়ার ৪টি ইউনিয়নের ১শ ৮৫ জন ভোটারের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন এ সকল প্রার্থীরা। তবে মাঠে-ময়দানে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে চষে বেড়াচ্ছেন “তালা” প্রতীকের আবু আহমদ জুনু, “হাতি” প্রতীকের এড. সিহাব উদ্দিন রতন। যে যার যোগ্যতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান, বিগত জীবনে রাজনীতিক পরিচিতি তুলে ধরে ভোটারদের মন জয় করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। চন্দনাইশ ও পটিয়ার এ সকল ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ১১নং ওয়ার্ডের চন্দনাইশের ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে সবাই আ’লীগের। তাই ভোটারেরা বলছেন, আ’লীগের সাথে আ’লীগের ভোটযুদ্ধ। ফলে আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান, মেম্বারেরা প্রার্থী বেছে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি এবং এলডিপির ভোটারেরা মুছকি হাসছেন। তাদের মতে দলীয় কোন প্রার্থী না থাকায় তারা খোশ মেজাজে রয়েছেন। তবে তারা যোগ্য এবং পরিচ্ছন্ন প্রার্থীকে ভোট দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চন্দনাইশ পৌরসভা, কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা, বরকল, বরমা, বৈলতলী, সাতবাড়ীয়া, হাশিমপুর, দোহাজারী, ধোপাছড়ি সহ ১০টি এবং পটিয়ার শোভনদন্ডী, কচুয়াই, খরনা, ছনহরা ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে
১১নং সাধারণ ওয়ার্ড নির্ধারণ করা হয়। এ সকল ওয়ার্ডে ১শ ৮৫ জন জনপ্রতিনিধি তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচিত করবেন। এদের মধ্যে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান, ২ জন ভাইস-চেয়ারম্যান, ১ জন পৌর মেয়র ও ১৩ জন চেয়ারম্যান সহ সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যরা এ ভোটাধিকার পাচ্ছেন।
উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা ফারুকী জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস, আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শিহাব উদ্দীন রতন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, চন্দনাইশ থানা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এ এফ এম মনছফ আলী মাষ্টারের ছেলে। তিনি ১৯৭৮ সালে এসএসসি, ৮১ সালে এইচএসসি, ৮৫ সালে বিএ (সম্মান), ৮৭ সালে এমএ, ৮৮ সালে এলএলবি, ৯০ সালে এড্ভোকেটশীপ নিয়ে আইন পেশায় জড়িত রয়েছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের এডিশনাল জিপি হিসেবে কর্মরত আছেন। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের কার্যকরী সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবীদের সংগঠন সাঁকো’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি: এর আইন উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক মনছফ আলী মাষ্টার স্মৃতি বৃত্তির প্রতিষ্ঠাতা, ফাউন্ডেশনের সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তাঁর সহধর্মিনী সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে সিনিয়র শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের সাথে রয়েছেন কাঞ্চননগর ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন আ’লীগ নেতা আবুল কালাম।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.