সুদানে মেয়েদেরকে ধর্ষণ শেষে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো

0

 সিটিনিউজবিডি  :     দক্ষিণ সুদানের সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই শেষে ওই এলাকার মেয়েদের ধর্ষণ করতো। পরে তাদের বাড়ির ভেতরে রেখে পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। মঙ্গলবার জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দক্ষিণ সুদান। ২০১৩ সালের দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কির অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে উপরাষ্ট্রপতি রিক মাচারকে বরখাস্ত করেন। এরপরই দেশটিতে সেনাবাহিনী ও সালভা কিরের সমর্থকদের সঙ্গে রিক মাচারের সমর্থকদের লড়াই চলছে। গত মার্চে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হলেও পরে তা ভেস্তে যায়।

মঙ্গলবার বিবৃতিতে দুপক্ষের লড়াইকে জাতিসংঘ ‘নতুন নৃশংসতা ও তীব্রতা’ বলে মন্তব্য করেছে। সংস্থাটি বলছে, ‘প্রতিবেদনে নৃশংসতার যে মাত্রা মাত্রা ও ব্যাপ্তি চিহ্নিত করা হয়েছে তাতে বিদ্বেষের মাত্রা রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’

জাতিসংঘের সুদান মিশনের সদস্যরা (ইউএনএমআইএসএস) জানিয়েছেন, এপ্রিলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনারা যে অভিযান চালিয়েছিল সেই ইউনিটি অঙ্গরাজ্যের ১শ ১৫ জন ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি (এসপিএলএ) বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে, গ্রামগুলিকে ধ্বংস করেছে এবং এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক লাখ লোক।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রতিবেদনের সত্যতার বিষয়টির আরো সুনিশ্চিতের জন্য তারা অভিযুক্ত এলাকাগুলিতে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সেনারা তাদের সেখানে যেতে দেয়নি।

সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউএনএমআইএসএসের মানবাধিকার কর্মীরা নৃশংসতার শিকার এলাকাগুলির বাইরে অতিরিক্ত দুটি জায়গা পরিদর্শণ করেছে এবং আরো বেশি ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ওই সব সাক্ষাৎকার ও পরিদর্শণ থেকে পাওয়া তথ্য আগের বক্তব্যকে সমর্থণ করছে।’

বিবৃতিতে এসপিএলকে অভিযুক্ত এলাকগুলিতে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের যাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের মানবাধিকার কর্মকর্তাদের সহিংসতার শিকার এলাকাগুলিতে অবাধ প্রবেশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এদিকে অভিযোগের বিষয়টি সেনাবাহিনী অস্বীকার না করলেও তারা জানিয়েছে, এ বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেয়ার প্রয়োজন আছে। এছাড়া সেনারা যদি জাতিসংঘের কর্তাদের অভিযুক্ত গ্রামগুলিতে প্রবেশ করতে না দেয়া হয়, তাহলে তাদেরকে এসপিএলএর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.