অর্থ ও বাণিজ্য : হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন আইটি টেকনিশিয়ানকে সন্দেহ করছেন একজন শীর্ষ তদন্ত কর্মকর্তা। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি (সিআইডি) শাহ আলমকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স এই খবর দিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আইটি টেকনিশিয়ানরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেন পদ্ধতিকে পাবলিক ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করে। এর মাধ্যমে তারা হ্যাকারদের সুযোগ করে দিয়েছিল। এমনটি সন্দেহ করছেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা। তবে শাহ আলমের এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে জানায় রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং লেনদেনের মেসেজিং নেটওয়ার্ক সুইফটের জন্য ব্যবহার্য একটি পাসওয়ার্ড টোকেন কয়েক মাস ধরে সুইফট সার্ভারে লাগানো ছিল। আর এই বিষয়টিতে তদন্ত দল এখন নজর দিচ্ছে।
বার্তা সংস্থাটিকে সিআইডির ওই কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিনের কাজ শেষে এই পাসওয়ার্ড টোকেন খুলে নিরাপদ একটি ভল্টে রাখার কথা ছিল। কিন্তু ওই জিনিসটি খুলে না রাখায় হ্যাকাররা সিস্টেমে ঢুকে ম্যালওয়্যার ছড়ানোর সুযোগ পায়।
তবে সার্ভারে সংযুক্ত সুইফট সিস্টেমকে সংরক্ষিত রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই টোকেন অরক্ষিত রাখার জন্য কে দায়ী তা জানা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভুয়া সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপিন্সের একটি ব্যাংকে সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা।সূত্র :অনলাইন ডেস্ক