আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় একটি কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি অপরাধ চক্রের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৬ বন্দি নিহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। শনিবার রাতে রিও গ্রান্ডে ডো নরর্টে রাজ্যে অবস্থিত আলকাকুজ কারাগারে নতুন করে এই রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। রবিবার কর্মকর্তারা একথা জানান।
এক সংবাদ সম্মেলনে রাজ্যের জননিরাপত্তা ব্যবস্থাপক কাইও বেজেরা বলেন, ‘এই ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি জানা গেছে। প্রথমে এই ঘটনায় প্রায় ৩০ জন মারা গেছে বলে ধারণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে তারা লাশ ও ছিন্নাংশগুলো উদ্ধার করে।’
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সহিংসতার ১৪ ঘন্টা পর ভোরবেলা কারাগারে প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কারাগারটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল তিমার টুইটারে বলেন, ফেডারেল সরকার ‘সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা’ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
তবে অ্যান্ড্রিয়ানা ফেলিজ নামের এক বন্দির বোন অভিযোগ করেন, ‘সংঘর্ষের সময় কারাগারের পরিচালক বলেছিলেন, তিনি কিছু করতে পারবেন না।’
অন্যদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য পারানার কর্মকর্তারা বলেন, কুরিতিবা নগরীর একটি জেলখানার দেয়াল ভেঙ্গে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ২৮ বন্দি পালিয়েছে।
ব্রাজিলের বেশিভাগ কারাগারে ধারণক্ষমতার অধিক বন্দি রয়েছে। কার্যত শক্তিশালী অপরাধী গোষ্ঠী ও মাদক চক্রগুলোই এই কারাগারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ফলে সেখানে দাঙ্গা অতি সাধারণ একটি ব্যাপার। জানুয়ারির শুরুতে ব্রাজিলের অন্যান্য কারাগারেও একই ধরনের সহিংসতায় প্রায় ১০০ বন্দির মৃত্যু হয়েছে। ১৯৯২ সালে এরকমই একটি দাঙ্গার পর একটি কারাগার দখল নিয়েছিল কয়েদিরা। ওই দাঙ্গায় ১১১ জন নিহত হয়। সূত্র: বিবিসি ও এএফপি