চকরিয়ায় বিদ্যালয়ের জায়গা পুনরুদ্ধারে নেমেছে প্রশাসন

0

চকরিয়া প্রতিনিধি::কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইসলাম নগরে স্থাপিত শহীদ হোছাইন চৌধুরী উচ্ছ বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া জায়গা পূনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।

ওবিবার(১৫ জানুয়ারি) সকালে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) মাহবুব উল করিম বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে অবৈধ দখলদারদের সাথে কথা বলে তাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ভুমি মন্ত্রনালয়, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বরাবরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শহীদ হোছাইন চৌধুরীর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি এ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে আসেন।

এলাকাবাসী জানায় শিক্ষায় অনগ্রসর পচ্চাদপদ অবহেলিত এলাকা কৈয়ারবিলের ইসলাম নগর। প্রায় ৪ হাজার লোকের বসবাসের এ গ্রামটিতে ছেলে মেয়েরা রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষা বঞ্চিত। এ কথা মাথায় রেখে শহীদ হোছাইন চৌধুরী ১৯৯৩ সালে ভুমি মন্ত্রনালয় কতৃক বরাদ্ধ পাওয়া এক একর জায়গায় ২০০৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করেন। প্রথমে ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হয়।পরে পর্যায় ক্রমে দশম শ্রেণী খোলা হয়। ২০১৫ সাল থেকে এ বিদ্যালয় থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ শত । তাদের জন্য পাঠ দানে রয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। যার ফলে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুনাম ইসলামনগর ছাড়াও কৈয়ারবিল সহ আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল ভবনে ছাত্র ছাত্রী সংকুলান না হওয়ায় আরো একাডেমিক ভবন নির্মানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সিকল ঘাট এলাকার আবু তালেব চৌধুরী, ইলিয়াছ ও আহমদ উল্লাহ নামে তিন ব্যক্তি স্কুলের জন্য বরাদ্ধকৃত এক একর জায়গার ভিতর অবৈধ ভাবে ঘর নির্মাণ করে দখলে রাখার কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় মারাত্বক বিঘœ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্টাটা শহীদ হোছাইন চৌধুরী প্রতিকার চেয়ে ভূমি মন্ত্রনালয় ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত রবিবার সকালে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বিদ্যালয় এলাকা সরজমিনে পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি বলেন স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে এবং যথাযথ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে স্কুলের জায়গা ভোগদখল নিশ্চিত করতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে যথাযত ও আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের উপদেষ্টা হাজী আবু মো: বশিরুল আলম, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা সূর্য্য কুমার দে, ফোরকান উদ্দিন মো: নবু , এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.