রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে রাখাইন অ্যাডভাইজার কমিশন

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া (কক্সবাজার)::কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীস্থ নতুন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

রবিবার(২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় উখিয়ার বালুখালীস্থ রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাথে ঘন্টাব্যাপী রুদ্ধদার বৈঠকে মিলিত হন। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন, মিয়ানমার সরকারের সামরিক জান্তার নির্যাতন সইতে না পেরে এদেশে পালিয়ে আসেন। ওখানকার সেনা কর্মকর্তারা মানুষকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবারের সাথে ঘন্টাব্যাপী আলোচনা করেন।৩ সদস্যের প্রতিনিধি হলেন, ২ জন মিয়ানমারের উইন ম্রা, আই লুইন ও ১ জন লেবানানের ঘানশন সালামী। তারা নতুন আসা রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিষয় খোঁজ খবর নেন।

গত অক্টোবর মাসে রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার জেরে মিয়ানমারের স্বশস্ত্র বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, নিপীড়ন শুরু করলে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান মিয়ানমার সফর করেন।কফি আনান ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় মিয়ানমারের ৬ জন নাগরিক ও ৩ বিদেশী বিশেষজ্ঞ গঠিত কমিশন এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সুপারিশ জমা দিবেন। রাখাইন রাজ্যের সব নাগরিকের মানবিক, উন্নয়ন, নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপদান গুলোকে কমিশন সুপারিশ তৈরি করবেন।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাখাইন রোহিঙ্গাদের উপর স্বশস্ত্র বাহিনীর নিপীড়ন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সংখ্যালুঘু মুসলিম জনগোষ্ঠির অন্তত ৬৬ হাজার সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের টেকনাফের উদ্দেশ্যে ত্যাগ করেন। উখিয়ার বালুখালী নতুন বস্তি এলাকায় ৮ সদস্যের একটি ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়।

উক্ত ক্যাম্প কমিটির সদস্যরা হলেন আমিন হোসেন, আনোয়ার কামাল, লালু মাঝি, সাইফুল ইসলাম, হারুন, খলিল, সাবের, আলী হোসেন।বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তির মোঃ হারুন বলেন, বস্তিতে ১ হাজার ৭২টি পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রবিবার ভোরে মুক্তি নামক এনজিও থেকে ২শ ৮০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। ত্রাণের মধ্যে ১৩ কেজি চাউল, ২ প্যাকেট লবন, ১ কেজি আটা, ২ কেজি তৈল ও দেড় কেজি চনার ডাল। ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত আনোয়ার কামাল বলেন, শনিবার রাতেই মিয়ানমার থেকে আরো ৪০ পরিবার এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে কিছু কিছু এনজিও সংস্থা যত সামান্য ত্রান দিয়ে যাচ্ছে। তবে বেশির ভাগ রোহিঙ্গা মানবেতর জীবন যাপন করছে। আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রতিনিধি ইয়াং লি ও কক্সবাজারে দায়িত্বরত সৈকত বিশ্বাস।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.