সিটিনিউজবিডি : সোনিয়া গান্ধীর ১৩ জুলাইর আলোচিত ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হলো দিল্লির অশোক হোটেলে। রাজনৈতিক কারণে সোনিয়া গান্ধীর এই ইফতার পার্টির দিকে ছিল অনেকেরই নজর। কারা কারা এই পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন- এ নিয়েও আগ্রহের কমতি ছিল না।
দেখা যায়, নীতিশ কুমার, শারদ পাওয়ার ছাড়া বিরোধী দলগুলোর উল্লেখযোগ্য শীর্ষস্থানীয় কোনও নেতা আসেননি এই ইফতারে। সোনিয়ার ইফতারে মূলত ইউপিএ শরিকদের ডাকা হয়েছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিমন্ত্রিত ছিলেন। নীতিশ এলেও মমতা সোনিয়ার ইফতারে যোগ দিতে দিল্লি আসেননি। তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে পাঠিয়েছিলেন।
একেবারেই অনুপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। সোনিয়া সিপিএমের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভাবা হয়েছিল, দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এই ইফতারে যাবেন। সেলিম দিল্লিতে থেকেও ইফতারে যাননি। মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতি মিশিয়ে ফেলা হলে সেটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’ তাদের ব্যাখ্যা, সোনিয়ার ইফতার পার্টিকে কার্যত বাদল অধিবেশনের আগে ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলের রণকৌশল তৈরির মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন কংগ্রেস নেতারা। এর মধ্য দিয়ে সোনিয়া-রাহুলের শক্তি প্রদর্শনে উৎসাহী ছিলেন তারা। কংগ্রেসের এই পরিকল্পনাতেই মদত দিতে চাননি সিপিএম নেতারা।
ইফতারের দৃশ্যপটে দেখা যায়- একপাশে ডেরেক, অন্য পাশে নীতিশকে নিয়ে বসেছিলেন সোনিয়া। রাজনীতির পাশাপাশি এ দিন কিছু ব্যক্তিগত কথাবার্তাও হয়। রাজীব গান্ধী যে তার হাতে তৈরি ফিরনি খেতে ভালবাসতেন, সেই গল্পও শুনিয়েছেন সোনিয়া। রাহুল বসেছিলেন আরেকটি টেবিলে ওমর আবদুল্লা ও কানিমোঝিকে সঙ্গে নিয়ে। সোনিয়ার ইফতারে হাজির হননি লালুপ্রসাদও। লালুর পাটনার বাড়িতে এদিন ইফতার ছিল। তাই তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
তবে সব মিলিয়ে সমালোচকদের অভিমত- কংগ্রেস সভানেত্রীর ইফতারের রাজনৈতিক জৌলুস যে অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে, সন্দেহ নেই। ইফতারে তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে।
তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা