ব্রীজ নির্মাণে বাঁধ দেওয়ায় বোরো ধানের ক্ষতি

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি:: চট্টগ্রামে পটিয়ায় ব্রীজ নির্মাণে অযাচিত বাঁধ দেওয়ায় বড়লিয়ার কয়েক’শ একর বোরো ধানের চাষাবাদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

গত ৪ দিনের প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ফলন ঘরে তোলার পূর্ব মুহুর্তে বোরো ধানের চারা গুলো পানির নিচে চলে যাওয়ায় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষকেরা অবিলম্বে নির্মিতব্য ব্রীজ নির্মাণের নিমিত্তে সৃষ্ট বাঁধ দুটি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিকট জোর দাবি জানান।

জানা যায়, পটিয়ার বড়লিয়া ও আশিয়ার সীমারেখার গরুলুটা খালে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গত ২ মাস পূর্বে ১টি ব্রীজ নির্মাণ শুরু হয়। এ সময় কৃষকদেরকে ১ মাসের মধ্যে এ বাঁধ খুলে দেওয়ার শর্তে ব্রীজের ঠিকাদার ব্রীজটির দু-পাশে ২টি বাঁধ দেয়। কিন্তু গত ২ মাস পার হলেও ঠিকাদার ব্রীজটির মাত্র ১৫ ভাগ কাজ শেষ করেই উধাও হয়ে যায়। এতে এ ব্রীজের উভয় পাশ প্রায় কয়েক’শ একর বোরো চাষাবাদ গত ৪ দিনের বৃষ্টিতে পানির নিচে চলে যাওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে। কৃষকেরা অবিলম্বে এ বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, ২ মাস পূর্বে যখন ঠিকাদার এখানে বাঁধ সৃষ্টি করেছিল তখন আমরা বাঁধ না দেওয়ার দাবি জানাই। তখন ঠিকাদার ১ মাসের মধ্যেই বাঁধ খুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমরা তা মেনে নিই। কিন্তু ২ মাস পার হলেও বাঁধ ২টি ঠিকাদার অপসারণ না করায় আমাদের এলাকার প্রায় কয়েক’শ একর বোরো আবাদী জমির ধান ঘরে তোলার পূর্ব মুহুর্তে পচে গলে পানির নিচে এখন নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। আমরা অবিলম্বে বাঁধ খুলে দেওয়ার দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সরেজমিন পরিদর্শনে বড়লিয়ার কৃষক মকসুদুল আলম, শাহ আলম, মাহাবুল আলম, মো: ইলিয়াছ, আশরাফ আলী বাদল, নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ফলন ঘরে তোলার পূর্ব মুহুর্তে বাঁধের কারণে আমাদের ধান গুলো এখন পানির নিচে চলে যাওয়ায় আমরা এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখিন হচ্ছি। আমরা অবিলম্বে বাঁধ অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
বড়লিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম সানু বলেন, ২/৩ মাস পূর্বে বাঁধ দেওয়ার সময় কৃষকরা বাধা দিলে আমি সহ স্পটে যাই। তখন ঠিকাদার ১ মাসের মধ্যে বাঁধ তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ২ মাস পার হলেও নির্মিতব্য এ ব্রীজের প্রায় ১৫% কাজ শেষ করে ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। এতে আমাদের এলাকার কৃষকরা এখন মারাত্মক ফসল হানির আশংকায় রয়েছে। পটিয়ায় কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং শীঘ্রই জমে থাকা পানি অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ঠিকাদার কাজ শুরু করার পরে বর্ষা শুরু হওয়ায় এখনকার এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমি ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত বাঁধ খুলে দিতে। অন্যথায় বিকল্প ব্যবস্থায় পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, আশা করি আজ-কালের মধ্যে এখানে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ফিরে আসবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.