উখিয়ায় ৩ শতাধিক যুবক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া, (কক্সবাজার)::কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা ট্যাবলেট। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে পৌঁছে যাচ্ছে লাখ লাখ ইয়াবা। বরাবরেই ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় গডফাদাররা।

শনিবার (৬ মে)  কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের জনসভায় আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র মুখ থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে ঘোষনা আসেন। তখন থেকে সীমান্ত জনপদের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উখিয়া উপজেলায় ৩শতাধিক যুবক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন। তারা অল্প দিনেই লাখ লাখ টাকার মালিক বনেগেছেন। এদের লাগাম টেনে ধরতে হবে।

পার্শ্ববর্তীদেশ মিয়ানমার থেকে তৈরী যৌন উত্তেজনা ট্যাবলেট আসছে হরহামেসায়। শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, পাড়া মহল্লায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা। উখিয়ার ৫টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আসছে এসব বড় বড় ইয়াবার চালান। প্রায় সময় ইয়াবা আটকের ঘটনা ঘটলেও ইয়াবা চালান বন্ধ হয়নি। শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করছেন এখানকার কিছু শিক্ষিত বেকার যুবক। উখিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন স্থরের নেতা কর্মীরা এ ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। গত কয়দিন ধরে সরজমিন ঘুরেও বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলে জানাগেছে উখিয়ার সীমান্তবর্তী বালুখালী শিয়াইল্লা পাড়া, বেতবুনিয়া, ডেইল পাড়া, ডিগলিয়া, ধামন খালী, সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন আসছে লাখ লাখ ইয়াবা। এসব সীমান্ত পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করেন, ২০ সদস্যের একটি টিম। উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া গ্রামের রফিক উদ্দিন (প্রকাশ রুপু), ইকবাল, আনোয়ারুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, উখিয়া পূর্ব ডিগলিয়া গ্রামের শাহ জাহান (প্রকাশ শাহ জাহান খলিবা) জাকের হোসেন, ষৈয়দ আলম, মকবুল আহাম্মদ, জয়নাল আবেদীন, ছৈয়দ আকবর, নাজু, ফজল করিম, আবু বক্কর, ইকবাল মিয়া, ইউনুস, ফারুক, পশ্চিম ডিগলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম, আব্দুল্লাহ্, আলী আহাম্মদ, ও ইউনুস। এছাড়াও কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে আশপার্শ্বে ১০ জনের অধিক রোহিঙ্গা যুবকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন জিয়াবুল।

গত ৭ মে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ শুভ উদ্ভোধন কালে উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, কক্সবাজাররের বদনাম ঘুচাতে হবে। ইয়াবার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধংশ হচ্ছে। সবাই মিলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। উখিয়ার সীমান্তবর্তী পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন বলেন, যারা এতদিন ইয়াবা ব্যবসা করেছেন পারলে এবার ছেড়েদিন। না হলে আর রক্ষা নেয়। তাদের সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে যাওয়ার দাবী জানান। হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, ইয়াবা ব্যবসার কারণে পারিবারিক ভাবে ঝামেলা হচ্ছে। উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, সবাইকে ঐক্য বদ্ধ হতে হবে। মাদক নির্মুলে পুলিশ তৎপর রয়েছে। শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.