ভাটিখাইন-কিরিঞ্জা সড়কের বেহাল দশা

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি::চট্টগ্রামের পটিয়ার ভাটিখাইন কিরিঞ্জা সড়কে বড় বড় খানা খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে চলাচলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিগত প্রায় ৩/৪ বছর ধরে প্রায় ২ কি.মি. জুড়ে এ করুণ অবস্থা চলতে থাকলেও এটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ না থাকায় এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা অবিলম্ব্যে সড়কটি সংস্কারে বিশেষ বরাদ্দের জন্য পটিয়ার সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরী সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পটিয়ার ভাটিখাইন নলিনী কান্ত মেমোরিয়াল ইন্সিটিটিউট থেকে শুরু হয়ে ভাটিখাইন-কিরিঞ্জা সড়কটি ছনহরার পাশ^বর্তী কিরিঞ্জা খালের ব্রীজ হয়ে আশিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে। এসড়কটির মাধ্যমে এ অঞ্চলের চট্টগ্রামগামী মানুষেরা সহজে আশিয়া বাংলা বাজার ও বুধপুরা বাজার হয়ে শান্তির হাট দিয়ে কম সময়ের মধ্যে নগরীতে যাওয়ার সুযোগ থাকায় এখন অধিকাংশ মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করছে। সড়কটির ভাটিখাইন নলিনীকান্ত মেমোরিয়াল ইন্সিটিটিউটের কাছ থেকে প্রায় ১ কি.মি. ও ছনহরা সিকদার পাড়া থেকে কিরিঞ্জা ব্রীজ পর্যন্ত ১ কি.মি. সড়ক খানা খন্দক সম্বলিত ব্রীক সলিং ও কাচা থাকায় জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে সাধারণ মানুষ পাঁয়ে কেন, যানবহানেও চলাচল করতে পারছে না। তারা মাত্র ২কি.মি. এ সড়ক সংস্কারের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান।

ছনহরার অধিবাসী আলম সিকদার বলেন, সড়কের এমন বেহল অবস্থা যে, হেটে আসতে গেলে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তিনি এটি সংস্কারের দাবি জানান। ছনহরা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন বলেন, পটিয়ার সাংসদ পটিয়ায় যে উন্নয়ন করেছেন তার কোন তুলনা নেই, কিন্তু আমার ইউনিয়নে এ সামান্য কাজ আমাদেরকে ভোগান্তির মধ্যে রেখেছে। আমরা এ সড়কের উভয় পাশের্^ ১ কি.মি করে সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি।

ভাটিখাইন ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, নলিনী কান্ত মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউটের পাশ^বর্তী এ সড়কের বেহাল দশা। আমরা এটি সংস্কারের আহবান জানাচ্ছি। ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান এড. আবদুর রশিদ দৌলতী বলেন, সড়কের মাঝখনে কার্পেটিং আর উভয় পাশের্^ খানা-খন্দক ও চলাচল অনুপযোগী। এটি হচ্ছে ভাটিখাইন কিরিঞ্জা সড়ক। আমি এটি সংস্কারের জন্য মাননীয় সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.