পটিয়ায় ভরাট হতে চলছে কেলিশহর সোনাইছড়ি খাল

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় কালের বিবর্তনে কেশিহরের সোনাইছড়ি খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় কয়েকশ একর জমির ধান ও রবিশষ্য চাষাবাদ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে। ফলে কয়েক ফসলী এ এলাকার শত শত একর জমিতে এখন এক ফসলী আবাদেই সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। তবে এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড শত শত বছর পুরোনো এ খাল খননে উদ্যোগ নিলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশাবাদ।

জানা যায়, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের কেলিশহর হাইদগাঁও এলাকার অতি প্রাচীন খাল সোনাইছড়ি। এ খালটি এ এলাকার বৃহত্তর পাহাড়িয়া এলাকা ঘেষে দক্ষিণে শ্রীমতি ও উত্তরে বোয়ালখালীর ভান্ডাল ঝুড়ি খালের সাথে মিশেছে। এক সময় এ খালের জোয়ার-ভাটার পানিতে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক কয়েক ফসলী আবাদ যেমন ধান ও রবি শষ্যের চাষাবাদ করতো এছাড়াও যুগ যুগ ধরে এ খালটি ছিল বিশাল এক মৎস্য ভান্ডার। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদ যেমন মৌসুমে করতে পারেন না তেমনি মৎস্য ও আহরণ করতে পারেন না। তারা আমান, উফসী ও বোরো ধান সহ বিভিন্ন মৌসুমে রবিশষ্য চাষাবাদের নিমিত্তে খালটি খনন করার জন্য পটিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী সহ সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

স্থানীয় কৃষক মো: মোরশেদ বলেন, আমরা এ খালের পানিতে ৩ ফসলী আবাদ করতাম। আমান ধানের দিনে আমান, বোরো ধানের দিনে বোরো এবং উফসী ধানের সময় উফসী এবং রবিশষ্য ও এখানে যথেষ্ট পরিমাণে চাষাবাদ হতো। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে চাষাবাদ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।
স্থানীয় কৃষক দিলীপ চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে এ খালটি সংস্কার হলে আমাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এখনের তুলনায় আরো বেশী রপ্তানী করা যাবে। পটিয়া কৃষি কর্মকর্তা রঘু নাথ নাহা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় পানি পেলে সব সময় মৌসুমী ফলন গুলোর আবাদ করতে পারবে।

এব্যাপারে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, পটিয়ার কেলিশহরের সবজির যতেষ্ট সুনাম রয়েছে। যদি সুযোগ পায় তাহলে কৃষকরা এখানে নি:সন্দেহে সবজি বিপ্লব ঘটাতে পারবে বলে আমার বিশ^াস।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.