পটিয়ায় ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ

0

সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : গত তিন দিনের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের শত শত ঘর বাড়ী ও পুকুর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অনেক মাটির ঘর যেমন হুমকির মুখে পড়েছে তেমনি বিভিন্ন পুকুরের কয়েক কোটি টাকার মৎস্য পোনা ভেসে গেছে।

জানা যায়, গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পটিয়া পৌরসভার মুন্সেফ বাজার থেকে খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজ পর্যন্ত সড়কটিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এলাকায় অবস্থিত দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় আবদুর রহমান, শশাংকমালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রেস ক্লাব ভবন, সনাক টিআইবি অফিস এবং রামকৃষø সেবাশ্রম ও কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার এবং সুচক্রদন্ডী গ্রামের অধিবাসীদের দুভোর্গের সম্মুখীন হতে হয়।

এছাড়াও সাবেক সার্কুলার বর্তমান সাংবাদিক জালাল উদ্দিন আহমদ সড়ক ও ডাক বাংলো এবং কলেজ গেইট, হাবিবুর পাড়া ও ডাক বাংলো ও পোস্ট অফিস মোড়, ষ্টেশন রোড সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে নিমজ্জিত থাকায় এতে চলাচলকারীরা দুর্ভোগ পোহায়।

স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব আলী জানান, নালা-নর্দমা গুলোকে সংকুচিত হওয়ায় প্রতিনয়ত এখানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আবুল মনছুর বলেন, পটিয়ার মরা শ্রীমতি খাল ভরাট হওয়ায় ও পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

পটিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি এসএমএকে জাহাঙ্গীর বলেন, এ এলাকাটি ১ম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্ত নালা-নর্দমার অভাবে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ ধারণ করে। মৎস্য ব্যবসায়ী মো: আবু ছৈয়দ বলেন, গত তিন দিনের ভারী বর্ষণে আমার প্রায় ১৪ টি পুকুরের ২৫ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমার মত শত শত মৎস্য ব্যবসায়ীর মৎস্য পোনার পুকুর পানিতে ভেসে যাওয়ায় পটিয়ায় কোটি টাকার মৎস্য পোনা ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এছাড়াও স্থায়ী জলাবদ্ধতায় অনেক জমির রবিশষ্য ও পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, পটিয়াকে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। ১১ কোটি টাকার ড্রেনেজ এর কাজ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শাহচান্দ আউলিয়া মাজার গেইট থেকে শুরু হয়েছে। তা পর্যায়ক্রমে পটিয়া চাঁনখালী গিয়ে পড়বে। এরপরে পটিয়া থানার মোড় থেকে আরেকটি ড্রেন শুরু হয়ে তালতলাচৌকি যাবে। সেখান থেকে আবদুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রেস ক্লাব হয়ে সুচক্রদন্ডী শ্রীমতি খালে মিশবে ড্রেনটি। এতে ব্যয় হবে ১০ কোটি টাকা। এছাড়াও শ্রীমতি মরা খালটিও খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বর্তমানে বাহুলী থেকেও আরেকটি ড্রেন ডাকবাংলো পর্যন্ত যাবে। এতে ব্যয় হবে ৯ কোটি টাকা। বিশেষ করে এ ড্রেনগুলো নির্মিত হলে পৌরসভায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। আমরা আশাবাদী বিশ^ ব্যাংকের সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো এ অর্থ বছরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.