আনোয়ারা প্রতিনিধি::দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর উৎপাদন শুরুর ৩৪ ঘন্টার মাথায় আবারও বন্ধ হয়ে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সার উৎপাদন। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানাটির মেরামত কাজ সম্পন্ন করে গত মঙ্গলবার রাত সোয়া এগারটায় কারখানাটি চালু করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে আবারও রিঅ্যাক্টর লিকেজ ধরা পড়ায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটির।তবে অ্যামোনিয়া উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে কারখানার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সিইউএফএল সূত্র জানায়,২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানাটি টানা ৮৮৪ দিন বা প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকে। এরইমধ্যে বিসিআইসির মাধ্যমে ইতালিয়ান এক্সপার্ট দ্বারা প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই দুইবার কারখানাটির মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়। সর্বশেষ গ্যাস সরবরাহ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে কারখানাটি চালু করে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কারখানাটি চালুর ৩৪ ঘন্টা পর ঘুরে ফিরে সেই একই সমস্যা রিঅ্যাক্টর লিকেজ ধরা পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় সার উৎপাদন। এতে করে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আবারও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বৃহৎ এ সার কারখানার মেরামত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ব্যাপক অনিয়ম,দুর্নীতি,গোজামিল ও শুভংকর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র আরো জানায়,১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরী সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। ওই সময় কারখানাটির নির্মাতাকারী জাপানী প্রতিষ্ঠান ২০ বছর মেয়াদ বেঁধে দিলেও পার হয়ে গেছে প্রায় ৩০ বছর। বিভিন্ন সময়ে গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক ত্রুটিতে কারখানাটি ৮-৯ মাস বন্ধ থাকলেও এবার সর্বোচ্চ উৎপাদন বন্ধ থাকে ২৯ মাসের বেশি সময়। ৯ বছরের বেশি দিন আগে পুরো প্রতিষ্ঠান মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কারখানার বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে। তারমধ্যে কিছু কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা হলেও বাকিগুলো ঝুঁকির মধ্যে আছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের ভুইয়া কারখানার ইউরিয়া প্লান্টে কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।