চোরাই বালু চোর সিন্ডিকেটের দখলে

0

বশির আলমামুন:চকরিয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি::চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের যাতায়াত সড়কটি এখন চোরাই বালুর ডিপো বানিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি বালু চোর সিান্ডকেট। তারা সড়কের উপর চোরাই বালু স্তুপ করে রেখে যান ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ডুলাহাজারা কলেজ গেইট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পর্যন্ত সড়কে যাতায়তের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাকের্র আগত দর্শনার্থীসহ কলেজের শতশত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বালুর স্তুুপের কারণে যে কোন মূহুর্তে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীরা জানান, স্থানীয় বালুরচর এলাকার মোঃ তজু মিয়ার পুত্র মোঃ ইউনুছের নেতৃত্বে একটি বালু চোর সিন্ডিকেট চক্র ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী লবণাক্ত খাল থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে চলছে। ওই উত্তোলিত বালু শতশত ট্রাকে করে প্রথমে সাফারি পার্কের সড়কে জমা করে। পরে সেখান তেকে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। অনুমোদন বিহীন কাটাখালী খাল থেকে উত্তোলন করা বালু ট্রাকে করে পাচারের ফলে সাফারি পার্ক সড়ক ছাড়া ও চলাচলে চরম ভাবে নষ্ট হচ্ছে শান্তিরঘাট-ডাকবাংলা সড়ক। তাছাড়া গ্রামীণ আভ্যন্তরীণ সড়ক গুলো চলাচলালে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ডুলাহাজারা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘কলেজ গেইট ও কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে মহা সড়কে অবৈধ বালুর ডিপোর কারণে কয়েকটি দুর্ঘটনা সংঘটিত হওয়া সহ চরমভাবে বিনষ্ট কচ্ছে কলেজের পরিবেশ। কলেজ সীমানা ঘেঁষে লবণাক্ত বালু রাখায় ছায়াযুক্ত গাছ গুলো মরে যাচ্ছে এবং ঠিকমত বাড়তে সমস্যা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের বারবার নিষেধ করেও তারা কর্ণপাত না করায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন জরুরি ভাবে অভিযান পরিচালনা করায় কিছুদিন বন্ধ থাকলেও স¤প্রতি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়ছে।

বালু চক্রের প্রধান ইউনুছ বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নাই। এব্যাপারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম জানান, ‘সড়ক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালুর ব্যবসা পরিচালনা করার কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে ওখানে বালুর ব্যবসা পরিচালনার ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন আছে কিনা আমি জানি না।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুল ইসলাম বলেন, চলাচল সড়কে বালু রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন অনুমোদন দেওয়া হয় নাই। বিষয়টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.