পটিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন
সুজিত দত্ত, পটিয়া প্রতিনিধি : পটিয়ায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সোমবার(২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ।
এতে কমিটির সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য আ.ক.ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বদিউজ্জামান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার আহমদ নবী, কমান্ডার মহিউদ্দিন, সহকারী কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান।
এতে তারা বলেন,
পটিয়ায় একটি স্বার্থন্বেষী মহল সরকারের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা পরিপন্থী উপায়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে না পেরে শতভাগ স্বচ্ছ পটিয়ার যাচাই-বাছাই কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিতর্ক সৃষ্টির পাঁয়াতারা চালাচ্ছে।
বিশেষ করে মহলটি গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে গণ মাধ্যমে বিতর্কিত সংবাদ প্রচার করেছে।
যা কোন বিবেকবান মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায় না।
কারণ মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে তাদের প্রতি রাষ্ট্রের এবং সব মহলের বিনম্র শ্রদ্ধা সব সময় ছিল আছে এবং থাকবে।
কিন্তু গুটিকয়েক স্বার্থন্বেষী মহল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে যে বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশ করেছে তা কখনো মেনে নেয়া যায় না।
বিশেষ করে এ মহলটি পটিয়ার যাচাই-বাছাই কমিটির কয়েকজন সদস্য কর্তৃক আবদুস সালাম শিকলবাহা, শেখ নুরুল ঈমান চৌধুরী চরকানাই, হাজী জালাল উদ্দিন হাইদগাঁও ও ফারুক আহমদ উজিরপুর কে নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অর্থের বিনিময়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে যে তথ্য পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা তথ্যের বহি:প্রকাশ।
তারা পটিয়া যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক তৈরিকৃত ও মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত তালিকা সাংবাদিকদের সম্মুখে উপস্থাপন করে বলেন,
আমরা পবিত্র কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক কে সামনে রেখে যাচাই-বাছাই করেছি।
এসময় অনেক স্বাক্ষী মুখ লজ্জায় কমিটির সম্মুখে আসলেও স্বাক্ষ্য দিয়েছেন যে তিনি যে ব্যক্তির পক্ষে এসেছেন প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
এরকম অহরহ প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তারা বলেন, আমরা যদি অর্থ নিতাম তাহলে পটিয়ার আবেদনকৃত ৭০০ জনই মুক্তিযোদ্ধা হতো।
কিন্তু আমরা পটিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরীর নির্দেশনা মোতাবেক সব ধরণের লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে জামুকার নির্দেশিকা মোতাবেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করেছি বিধায় মাত্র ৪৩ জন নতুন অন্তর্ভুক্তির জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছি।
যে কারণে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের পটিয়ার যাচাই-বাছাই কমিটিকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি যে কেউ যদি অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বা কোন ধরণের অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে মর্মে প্রমাণ করতে পারে তাহলে সব ধরণের সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকেই আমরা পদত্যাগ করবো।