কক্সবাজার কারাগারে হাজতির রহস্যজনক মৃত্যু
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:: কক্সবাজারে জেলা কারাগারে মঞ্জুর আলম প্রকাশ মঞ্জুর শেখ (৫৮) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে ।
রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঞ্জুর শেখ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজীখান মালখানগর এলাকার মৃত শেখ বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার শাহাদাত হোসাইন জানান, ইয়াবাসহ আটক মঞ্জুর আলম প্রকাশ মঞ্জুর শেখ (৫৮) কে ৩০ জুলাই কক্সবাজারে জেলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারে আনার কয়েক ঘণ্টা পরে শরীরে ব্যথা জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
তাকে ওই দিনই কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনি সুস্থতাবোধ করলে ৫ আগষ্ট হাসপাতাল থেকে ছাড় দেয়া হয় মঞ্জুর শেখকে। তাকে যথারীতি ফের জেলা কারাগারে আনা হয়।
তিনি বলেন, ৬ আগষ্ট রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুত্রে জানাগেছে , হাসপাতালে আনার আগেই মঞ্জুর শেখের মৃত্যু হয়।
এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশী নির্যাতনে কয়েদি মঞ্জুর শেখের মৃত্যু হয়েছে। মঞ্জুর শেখের ভগ্নিপতি মোঃ নিকসন অভিযোগ করেন,
২৯ আগষ্ট রাতে টেকনাফে আসার সময় টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ এলাকায় গাড়ী তল্লাশী করে তাকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ব্যাপক মারধর করে। তাকে ১ হাজার ইয়াবাসহ আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তার অভিযোগ, ছেড়ে দেয়ার কথা বলে অতিরিক্ত মারধরের কারণে মঞ্জুর শেখের হাত ও পায়ে মারাত্মক আঘাত পায় ৩১ আগষ্ট তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ দিন চিকিৎসা দেয়া হয়।তিনি সুস্থ না হলেও ৩ দিন পর কারাগারে নিয়ে যায়।
৬ আগষ্ট তাকে আবার গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর জন্য মঞ্জুর শেখকে আটককারী জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোঃ মাহবুবুল আলমকেই দায়ী করেন পরিবারের স্বজনেরা।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এসআই মোঃ মাহবুবুল আলমের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিক্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছেড়ে দেয়ার কথা বলে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেনও করা হয়নি।