মিজানুল কবির -তিল ঠাঁইয়ের জায়গা নেই মিলনায়তনে। নাটক শুরুর আধঘণ্টা আগেই শেষ হয়ে গেছে সমস্ত টিকেট। আবার টিকেট না পেয়ে অনেকে ফিরে গেছেন মুখভার করে। এমনটাই হওয়ার কথা। কারণ মঞ্চে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক ‘মুক্তধারা’ বুধবার নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণায়ন নাট্য সম্প্রদায় পরিবেশন করে ড. কুন্তল বড়ুয়া নির্দেশিত নাটক ‘মুক্তধারা’।
মুক্তধারার দ্বন্দ্ব মূলত যন্ত্রের সঙ্গে মানবিকতার। যন্ত্র স্বাধীন শক্তি নয়-মানুষের কর্মের সহায়ক শক্তি মাত্র। পুঁজির প্রতাপে বর্তমান বিশ্বে পুঁজিহীন দেশগুলো পরিণত হচ্ছে অসহায় রাষ্ট্র রূপে। ধনী দেশগুলো দরিদ্র রাষ্ট্রের উপর আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে অব্যাহত রেখেছে অর্থনৈতিক শোষণ।
‘মুক্তধারা’ নাটকে মূলত এইসব মানব অস্তিত্ববিরোধী চিন্তা ও কর্মের বিরুদ্ধে পৃথিবীর দিকে দিকে প্রকৃতিবাদী মানুষ প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে। নাটকের ঘটনাস্থল পার্বত্যরাজ্য উত্তরকুট। এখান থেকে বয়ে চলেছে মুক্তধারা ঝরনার জলস্রোত। রাজ্যের নিম্নভাগে আছে শিবতরাই। দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত শিবতরাইবাসী অনেকদিন খাজনা দেয়নি। ক্ষুব্ধ রাজা চরম শাস্তি দিলেন তাদের। বহু চেষ্টা, সময়, অর্থ আর জীবনের বিনিময়ে যন্ত্ররাজ বিভুতিকে দিয়ে বেঁধে দিলেন বাঁধ মুক্তধারার বুকে। শিবতরাইবাসী বঞ্চিত হল প্রকৃতির আর্শীবাদ থেকে। তাদের ভূমি হয়ে উঠল জলহীন, বিশুষ্ক।
এ নাটকে অভিনয় করছেন শুভ্রা বিশ্বাস, রণজিৎ বিশ্বাস, দুলাল দাশগুপ্ত, সাহিদ উদ্দীন চৌধুরী, তৌহিদ হাসান ইকবাল, সাঈফ মো. মাঈনুল হাসান, বাপ্পা চৌধুরী, অনির্বান ভট্টাচার্য, মামুনুল হক, হাসান মুরাদ, শিহাব জিশান, বাপ্পী হায়দার,মিজানুল কবির রিয়াদ, শারাবান তাহুরা কুমকুম, উত্তম চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, সেকান্দার জহির, মঈনুদ্দিন সুমন, ইউনুস আলী, লিটন দাশ, শহিদুল ইসলাম অলি, তুষার শুভ্র দেব, সোহেল চাকমা, অর্থী চৌধুরী, অপর্ণা চৌধুরী।