মাছ চাষে সার ও মুরগীর বিষ্টা ব্যবহার পুকুরে!

0

ছাদেকুর রহমান সবুজ, বোয়ালখালী::বোয়ালখালীতে মাছের বৃদ্ধি ঘটাতে প্রায় পুকুরে দেয়া হচ্ছে রাসায়নিক সার। এতে মাছের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে বলে ধারণা মৎস্য চাষীদের। এছাড়া মাছের খাদ্য হিসেবে পোল্ট্রি খামারের মুরগির বিষ্টা বস্তায় বস্তায় প্রয়োগ করছেন মৎস্যচাষীরা।

মুরগীর বিষ্টা ও রাসায়নিক সারের মধ্যে ইউরিয়া, এমওপি সারের মাত্রারিক্ত ব্যবহার এখন বোয়ালখালী উপজেলার প্রায় পুকুরে। মাত্রাতিরিক্ত এসব সার পরিবেশ ও মানব দেহের জন্য ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার বলেন, প্রত্যক কিছুর মাত্রা রয়েছে। তবে রাসায়নিক সার মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইউরিয়া বা এমোনিয়া খুবই বিষাক্ত। এ সার মানব দেহের লিভার, স্নায়ু ও কিডনির ক্ষতি সাধন করে বেশি। এ ব্যাপারে সচেতনতা খুবই জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটি বোয়ালখালীর মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পুকুরে মাছের বৃদ্ধি ঘটাতে মাত্রাতিরিক্ত সার প্রয়োগ পরিবেশের জীব বৈচিত্র্যে জন্য নতুন এক হুমকি। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, পানিতে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য ইউরিয়া ব্যবহার করা যায়।

ইউরিয়া প্লাংটন জন্মাতে সাহায্য করে জানিয়ে তিনি বলেন তবে, এর মাত্রা রয়েছে। প্রতি শতকে ১শ-১৫০গ্রাম প্রয়োগ করা যায়। মুরগীর বিষ্টা মানব দেহে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করে বিধায় এর প্রয়োগে নিষেধ রয়েছে।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.