আনোয়ারায় ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

0

আনোয়ারা প্রতিনিধি::আনোয়ারায় সিইউএফএল সড়কের জায়গা দখল করে অবৈধ দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এসব দোকানঘর নির্মাণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী নবাব খাঁন।

বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশি বাধায় কাজ বন্ধ হলেও সরিয়ে নেয়নি নির্মাণ সামগ্রী। ফলে যে কোনো সময় আবারও কাজ শুরু করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়,উপজেলার ব্যস্ততম এ সড়ক দিয়ে পারকি সমুদ্র সৈকত,সিইউএফএল,কাফকো,মেরিন একাডেমি,কেইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার যানবাহন চলাচল করে থাকে। তাছাড়া শাহ্ মোহছেন আউলিয়ার ভক্ত-অনুরক্তদের আসা- যাওয়াও এই পথে। ব্যস্ততম এ সড়কের ফুটপাত দখল করে দোকান গড়ে তোলায় প্রতিনিয়ত যানজটসহ ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। শুধু তাই নয়,বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলেও দারুণ সমস্যা হচ্ছে। এমনকি সাধারণ পথচারীদেরও হেঁটে চলা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় সিইউএফএল সড়কের ফুটপাত দখল নিয়ে চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা।

সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সিইউএফএল সড়কে ফুটপাতের বিশালাংশ অবৈধভাবে দখল করে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায় নবাব খাঁনের ভাড়াটে লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। দখলবাজরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না কেউই। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন সিইউএফএল কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।

সূত্র জানায়, বিগত ১৩ বছর পুর্বে উপজেলার বন্দর কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় সিইউএফএল সড়কের প্রায় ১০ শতক ফুটপাত অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে জনৈক নবাব খাঁন। রাস্ট্রায়ত্ব সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) মালিকানাধীন এসব জায়গায় আধাপাকা বারটি দোকানঘর তোলে তা মাসিক ভাড়ায় দেন তিনি।

অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটি জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন পর আবারও জায়গাটি অবৈধ দখলে নিয়ে দোকানঘর নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। অবৈধভাবে দখল করে সিইউএফএল সড়কের জায়গা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি জনগণের ভোগান্তিও বেড়ে যাবার আশংকা আছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান সিইউএফএল নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মাহবুব আলম। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে কর্ণফুলী থানার আওতাধীন বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আবদুল মতিন বলেন,সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি আমাদের অবহিত করেছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিথিল চন্দ্র সূত্রধর জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.