রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে প্রয়োজন আট কোটি ডলার

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে প্রায় আট কোটি ডলার লাগবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। এখন পর্যন্ত আসা প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয়, খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করতে এই অর্থ লাগবে।

ত্রাণ সংস্থাগুলোর বৈঠকে অংশ নেয়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর শনিবার জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে অন্তত সাত কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রয়োজন হবে। খবর বিবিসির।

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার কারণে গত ১৫ দিনে সে দেশ থেকে তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ শনিবার একথা বলেছে।

এ পরিসংখ্যান লাফিয়ে দিনে প্রায় ২০ হাজার করে বাড়ছে।

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার একজন মুখপাত্র জোসেফ ত্রিপুরা বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় দুই লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।’

জাতিসংঘ কর্মকর্তারা জানান, আগে হিসাবে ধরা হয়নি এমন কয়েকটি গ্রাম ও এলাকাতেও সংস্থা আরও অনেক রোহিঙ্গাকে পেয়েছে।

অধিকাংশ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭৮ কিলোমিটার (যার এক চতুর্থাংশজুড়ে রয়েছে নাফ নদী) বিস্তৃত সীমান্ত দিয়ে পায়ে হেঁটে বা নৌকায় করে আসছে।

জাতিসংঘ জানায়, বুধবার রোহিঙ্গা আগমন সংখ্যা হুট করে খুব বেড়ে যায়। এ দিন তিনশ’র বেশি নৌকা বাংলাদেশে এসেছে।

জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৬৪ হাজার মানুষ বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন।

ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, খুব অল্প সময়ে এত বেশিসংখ্যক রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় তারা ত্রাণ দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

প্রতিদিনই আরও হাজার হাজার লোক আসছে, যাদের মধ্যে এক বড় অংশ নারী ও শিশু। এর আগে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনইইচসিআর স্থাপিত দুটি শরণার্থী শিবির পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীরা নানা জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।

বিভিন্ন দেশ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অর্থের প্রতিশ্রুতি মিললেও সমন্বিতভাবে উদ্যোগের একটি অভাব দেখা যাচ্ছে।

ইউএএইচসিআরসহ বাংলাদেশের সবগুলো ত্রাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা মিলে আজ পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য এক বৈঠকে বসে।  এরপর ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা ভিভিয়ান ট্যান বলেন, আগত শরণার্থীদের ত্রাণের জন্য এখনই তাদের অন্তত সাত কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন।

অন্যদিকে বিশ্বের ১৯০ টি দেশে রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট-এর প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশের রেড ক্রিসেন্ট।  সংস্থাটির মহাসচিব মজহারুল হক বলছেন, তারা এর মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ ডলার সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.