চন্দনাইশে অপহরণের নাটক সাজিয়ে পরবর্তীতে উদ্ধার

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ::চন্দনাইশ হাছানদন্ডীর জামাল উদ্দিন (৫০) নিজেই অপহরণ নাটক সাজিয়ে ৩ দিনের মাথায় টেকনাফ থেকে উদ্ধার করছে থানা পুলিশ। পরে অপহরণের নাটক উম্মোচন করে ভিকটিম নিজেই।

গত ১৭সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা সাতবাড়িয়া হাছানদন্ডীর মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দীন অপহরণ হয়েছে মর্মে তার নিজের ফোন থেকে তারই চাচাতো ভাই ইউপি চেয়ারম্যান আহমুদুর রহমান ভেট্টার নিকট ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে জানান।

এসময় জামাল উদ্দীন অপহরণকারীরা তাকে আটক করে হাত, পা বেধে রেখেছে বলে জানিয়েছিলেন। তাছাড়া জামাল তার নিজের মোবাইলে বিকাশে অপহরণকারীদের দাবীকৃত ৫লাখ টাকা পাঠানোর জন্য বলেন।

এ ব্যাপারে জামালের ভাই ফোরকান বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে জামালের অবস্থান টেকনাফের কেরাংতলি এলাকায় পায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আলমাস কেরাংতলি পৌছে তার ৪জন সোর্সের মাধ্যমে খরব নিতে শুরু করে। কিন্তু কাউকে আটকানো বা বেধে রাখার খবর পাননি।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে হঠাৎ ভিকটিম জামাল ১জন লোকসহ যাওয়ার সময় তার পরিবারের লোকজন চিনতে পারলে পুলিশ তাকে আটক করে। এসময় তার সাথে থাকা একই এলাকার জসিম উদ্দীনকেও আটক করে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আটককৃত জসিম জানায় যে, জামাল তাদের বাড়ীতে কাজ করত। সে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারই ভগ্নিপতি সোনা মিয়ার বাড়ীতে বেড়াতে আসে এবং বলে যে, রোহিঙ্গাদের সে দেখতে এসেছে। সে হিসেবে জসিম তাকে নিয়ে রোহিঙ্গাদের দেখতে বের হলে পুলিশের নিকট ধরা পড়ে।

একই ভাবে সোনা মিয়াকে রাতে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনা সত্যতা মিলে। পরে ভিকটিম জামাল বিষয়টি স্বীকার করে বলে যে, তার কিছু ্টাকার প্রয়োজন ছিল, আত্মীয় স্বজন থেকে এটাকা আদায়ের জন্য এ কৌশল অবলম্বন করেছে। তাকে কেউ অপহরণ করে নাই। পরবর্তীতে থানা ভিকটিম জামাল ও তার ভাই ফোরকান অঙ্গিকার নামা দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.