আফগানিস্তানে বিমান হামলায় বেসামরিক নিহতের ঘটনা বাড়ছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানে বিদেশি ও সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি সংস্থাটি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে আফগানিস্তানের সংঘাতে নারী ও শিশুসহ ৮ হাজার ১৯ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম সাউথ এশিয়ান মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিদেশি বাহিনী ও আফগান সরকারের বিমান হামলাকে দায়ী করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হতাহতের ৬৪ শতাংশের জন্য সরকার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ও ২০ শতাংশের জন্য সরকারি বাহিনী দায়ী।
গত ৯ মাসের মধ্যে বিমান হামলায় বেসামরিক লোকজন নিহত সংখ্যা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। যুদ্ধ ও বিমান হামলার ফলে ২ হাজার ৬৪০ জন বেসামরিক লোক নিহত ও ৫ হাজার ৩৭৯ জন আহত হয়েছে।
আফগানিস্তান মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র বিলাল সেদিকি বলেন, বেসামরিক লোক নিহতের সংখ্যা নজিরহীনভাবে বাড়ছে এবং প্রতিদিন আমরা বেসামরিক মৃত্যুর স্বাক্ষী হচ্ছি। এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন।
রিপোর্টে বলা হয়, গত বছরের (এই সময়ের) তুলনায় বিমান হামলায় নিহতদের সংখ্যা ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমান হামলায় নিহত ২০৫ জন বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে ৩৮ শতাংশ নিহত হয়েছে বিদেশি বিমান হামলায় এবং প্রায় ৬০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী আফগান বাহিনী বিমান হামলা।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডালাত ওয়াজিরি জাতিসংঘ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কারণেই এসব হতাহত হচ্ছে, তারাই এর জন্য দায়ী। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আবাসিক এলাকায় লুকিয়ে থাকে এবং বেসামরিকদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
মার্কিন জোটসহ বিদেশি বাহিনীগুলো কেবল সেপ্টেম্বরেই আইএস ও তালেবানদের লক্ষ্য করে ৮০০ বোমা ফেলেছে।