প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আজ ১২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ৩ঃ০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম ব্র্যাক ডিভিশনাল অফিসে অনুষ্ঠিত এক সভায় দেশের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) কর্মসূচির উদ্যোগে চট্টগ্রামে যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক গঠন করা হয়।
এনজিও সংস্থা ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিষ্ট মীর সামসুল আলম। আলোচনা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক এডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী,চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের সভাত্রেী জিনাত আজম, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সহ- সভানেত্রী রোকেয়া জামান ,চট্টগ্রাম ক্যাবের সেক্রেটারী কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী,এনজিও সংস্থা বিটার সমন্বয়কারী মাহফুজা আকতার ,ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাফর সাদেক চৌধুরী, সিএসডিএফ এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শম্পা কে নাহার ,বিএনপিএস এর শরীফ চৌহান,উদীচী এর সহ-সভাপতি সুনীল ধর,অপরাজেয় বাংলাদেশের লাভলী বড়ুয়া,ইপসার সাদিয়া তাজিন ,ঘাসফুলের জোবায়ুর রশিদ ,সংসপ্তক এর অগ্রদুত দাস গুপ্ত,ওডেব এর সুমন মহুরী,জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম মজুমদার ,মেজনিন কর্মসূচির সেক্টর স্পেশালিষ্ট মেহেদী হাসান প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন ব্র্যাকের মেজনিন কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিষ্ট ঝর্না রানী দাস।
আলোচনায় বক্তারা বলেন যৌন হয়রানি, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ-গণধর্ষণ ইত্যাদি সারাদেশে উদ্বেগজনকহারে বেড়ে চলছে। যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা থাকলেও বেশিরভাগক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়িত হয়না। তাই আজ নাগরিক সমাজকে সো”চার হতে হবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নারী নির্যাতক দুস্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক,চট্টগ্রাম সকলকে সাথে নিয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ও সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জেসমিন সুলতানা পারু কে আহ্বায়ক করে যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের ১৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিভাগের আরও খবর