বিনোদন ডেস্ক : ২০১০ সালে ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ দিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে অনন্ত জলিলের। এরপর আরও পাঁচটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু কোন ছবিতেই নাকি মনের মতো অভিনয় করতে পারেননি আলোচিত এই নায়ক। তাই এবার শুধুই অভিনয় করতে চান তিনি। শনিবার বিএফডিসির ২ নম্বর ফ্লোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অনন্ত জলিল।
সম্প্রতি ‘দ্য স্পাই’ শিরোনামে নতুন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দেন অনন্ত জলিল। ইতিমধ্যে ছবির জন্য শিল্পী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মনসুন ফিল্মস। ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ নামের এই কর্মসূচির প্রতিযোগিতার সর্বশেষ অবস্থার কথা জানাতেই শনিবার বিএফডিসিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত যতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি, কোনটিতেই মনের মতো অভিনয় করার সুযোগ পাইনি। কারণ প্রত্যেকটা ছবির চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে, সংলাপ, শুটিংয়ের লোকেশন ও অভিনয়শিল্পী নির্বাচন-সবকিছুই আমাকেই তদারক করতে হয়েছে। শুধু তাই নয়; কস্টিউম ডিজাইন থেকে কোরিওগ্রাফিও করতে হয়েছে আমাকে। এসব নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, শরীরের ঘাম মুছতে মুছতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হতো। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আর্টিস্ট হব।’
তবে কী পরিচালনা কিংবা ছবির অন্যান্য কাজে দেখা মিলবে না অনন্ত জলিলের? বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্য খোলাসা করে কিছুই বলেননি এই নায়ক। এদিকে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্যালেন্ট হান্ট ব্যক্তি পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিভা অন্বেষণের অনুষ্ঠান। এটা শুধুই নায়ক-নায়িকা খোঁজার অনুষ্ঠান নয়, এর মাধ্যমে আমরা অন্যান্য অভিনয়শিল্পী খোঁজার কাজটিও করা হবে। যা আমাদের পরবর্তী ছবি ‘দ্য স্পাই’ মুক্তির পর সবাই টের পাবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। এটিএন বাংলার উপদেষ্টা (অনুষ্ঠান) নওয়াজেশ আলী খান, বিক্রয় ও বিপণন প্রধান শামসুল হুদা, মোবাইল প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন, হেড অব ভ্যাস ম্যানেজমেন্ট ফয়সাল মাহমুদ হাসান, ড্যানিশ ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজ আল মাহমুদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আলী, রেডিও নেক্সটের একলিম উদ্দিন, জেলটা মোবাইলের পরিচালক মালিক উর রশিদ, রেড ডট মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী শুভ্র এবং ক্রিয়েটো লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম খান।