সিটিনিউজবিডি : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, জাপানের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রামের যেকোনো জায়গায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জমি দেওয়া হবে।
ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এই কথা জানান। একইসঙ্গে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, জাপানে পণ্য রপ্তানি করে আগামী ৩ বছরের মধ্যে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একমাত্র অস্ত্র ছাড়া সব পণ্যেই জাপান বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি রপ্তানির সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশি তৈরি পোশাকও জাপানে রপ্তানি হয়। জাপানে পণ্য রপ্তানি করে বর্তমানে বাংলাদেশ ১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। আগামী ৩ বছরে এর পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।
তোফায়েল আহমেদ জানান, স্বাধীনতার পর এককভাবে জাপান বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে জাপানের ২৩০টি কোম্পানি রয়েছে। বৈঠকে তাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাপানের ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রামের যেকোনো জায়গায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জমি দেওয়া হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাব বলেন, বাংলাদেশ-জাপান দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এই দুই দেশের জন্য ২০১৪ সাল একটি স্মরণীয় বছর। ওই বছরে বাংলাদেশ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশ সফর করেছেন, যা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মাইলফলক হয়ে থাকবে।